হেমিন সুনিম দক্ষিণ কোরিয়ার প্রভাবশালী জেন লেখকদের একজন। এ পর্যন্ত তার বই তিন মিলিয়ন কপিরও বেশি বিক্রি হয়েছে। বইটি শুধু যে ধ্যান বা মেডিটেশনের গাইড হিসেবে জনপ্রিয় তা নয়, এতে দৈনন্দিন জীবনের বাধা বিপত্তি কাটিয়ে ওঠার চমৎকার সব পদ্ধতি দেয়া আছে।
ব্যস্ততায় আপনার নাভিশ্বাস উঠছে? মেজাজ খারাপ? সবকিছুই করছেন অথচ কিছুই হচ্ছে না? এদিকে আবার কিছু মানুষ সবসময় হাসিমুখে শান্ত থেকেই জীবনে উন্নতি করছে ! কীভাবে করছে তারা? কী জাদু জানে এই মানুষগুলো?
মানুষের কাছ থেকে আঘাত পেতে পেতে পাথর হয়ে গিয়েছেন? সবাই শুধু নিজের স্বার্থটাই বোঝে, আপনাকে শুধু ব্যবহার করতে চায়? মন চায় নিজেও স্বার্থপর হয়ে যাই ! এরই মাঝে কিছু মানুষ আবার সবার কাছেই প্রিয়। কি কৌশলে এমন হয়?
জীবন চালিয়ে নেয়ার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন কিন্তু কাজটা পছন্দ হচ্ছে না? আপনার সব থাকার পরেও মনে হয় জীবনটা শুন্য? আবার আপনার ভালো লাগার কাজ করতে গিয়ে পিছিয়ে পড়ছেন? এরই মধ্যে দেখবেন কিছু লোক নিজের প্যাশন নিয়েই জীবনে উন্নতি করছে। কিভাবে করছে তারা এটা?
কাউকে ভালোবাসেন? কিন্তু ভালোবাসার মানুষটি একের পর এক আপনার অনুভূতিতে আঘাত দিয়েই যাচ্ছে? ভালোবেসে নিজেকে ব্যর্থ মানুষ মনে হচ্ছে? এরই মাঝে কেউ কেউ অনেক ভালোবাসা পাচ্ছে, সুখে আছে। এই ভালোবাসা তারা কীভাবে পায়?
জীবন চলার পথের কাজগুলো হয়তো আপনাকে করতে হবে। কিন্তু এমন কিছু জ্ঞান আমাদের দরকার যাতে জীবনটা সহজ হয়, সুন্দর হয় কিন্তু ফলপ্রসূও হয়। আমাদের মনের নিয়ন্ত্রণ আমাদের কাছে থাকা জরুরি। কিন্তু আমরা শুধু ভেবেই যাই, শেষ পর্যন্ত ভাবি এ ব্যাপারে কিছু করার ক্ষমতা আমার নেই। কিন্তু হেমিন সুনিম এর মতে আছে। এই বইটি একটি উপদেশ মূলক বই। উপদেশ তো সবাই দিতে পারে ! কিন্তু এই বইটি সচরাচর উপদেশমালা থেকে আলাদা। কারণ এতে কী করতে হবে তাই শুধু বলা হয়নি, সেটা কিভাবে করতে হবে তাও বলা আছে।
ছোট হয়ে আসা এ পৃথিবীতে ছুটতে ছুটতে কখনো কি মনে হয়েছে আসলে আমি কি করছি? কি আমার উদ্দেশ্য? জীবনের কোনো না কোনো পর্যায়ে সবারই এমন মনে হয়। হেমিন সুনিম কাব্যিক ঢঙে জীবন নিয়ে কথা বলেছেন, জীবনের বাস্তব সমস্যা গুলোর দিকে আলাদাভাবে তাকানো শিখিয়েছেন।
বই পড়ে কখনো আপনার মনে হবে বৈষয়িক, জাগতিক উন্নতির পথ দেখানো হয়েছে, আবার কখনো গভীর আধ্যাত্মিকতার স্বাদ পাবেন এতে। পড়ে দেখুন, কাজে লাগবে।