দ্য সুলতান’স হারেম বইয়ের ভূমিকা ইতিহাস আমার খুবই পছন্দের একটা বিষয়। কিন্তু ইতিহাস নির্ভর বই কেন যেন আমাকে খুব একটা টানতো না। অন্ততপক্ষে এই বইটা পড়ার আগ পর্যন্ত না। অথচ ইতিহাস নিয়ে লেখা বই খুব বেশি না পড়লেও একেবারেই যে পড়া হয়নি তা নয়। হুমায়ূন আহমেদের মাতাল হাওয়া থেকে মধ্যাহ্ন, অথবা সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের সেই সময় থেকে প্রথম আলো। পাঠ্যপুস্তকে রক্তাক্ত প্ৰান্তর তো ছিলই। তবে বাংলা উপন্যাস পড়া হলেও ইংরেজি উপন্যাস পড়া হয়নি একেবারেই। সেদিক দিয়ে ‘দ্য সুলতান'স হারেম আমার প্রথম পড়া এবং প্রথম অনুবাদ করা হিস্টোরিকাল ফিকশন।
বইটা অনেকটাই সংক্ষেপিত এবং পরিমার্জিত। তবে তাতে কাহিনীর কোথাও কোনো ছেদ পড়েনি বলেই আমার বিশ্বাস। অনুবাদ করতে খুব কষ্ট হয়েছে। তবে আনন্দও পেয়েছি খুব। বাকিটা এখন পাঠকদের হাতে। পাঠকরা যদি সাদরে গ্রহণ করেন তাহলেই আমার পরিশ্রম সাৰ্থক বলে ধরে নেবো । অনেককেই ধন্যবাদ দেওয়ার আছে। ফুয়াদ ভাইকে ধন্যবাদ দিয়ে ছােট করব না। এই মানুষটার এনার্জি দেখে আমি অবাক হয়ে যাই মাঝে মাঝে। আদী প্রকাশনীর কর্ণধার। সাজিদ ভাইকেও একটা বড় করে। ধন্যবাদ। তিনি না বললে এই বই আমার অনুবাদ করাই হতো না। আর আরেকজনের কথা না বললেই নয়, সে আমার স্ত্রী। সংসারের অন্য সব কাজ ও নিজের হাতে তুলে না নিলে হয়তো আমি এই বই শেষ করতে পারতাম না । অনেক নিখুঁত করার চেষ্টা করেছি। কিন্তু যেহেতু এটা আসমানী কিতাব না। তাই ভুলভ্রান্তি থাকতে পারে। আশা করি, পাঠকবৃন্দ ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। ইমতিয়াজ আজাদ
কলিন ফ্যালকনার
ইমতিয়াজ আজাদ
ইমতিয়াজ আজাদ; জন্ম ১৯৮৭ সালে, কুষ্টিয়াতে । বাবা অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তা, মা গৃহিনী | কুষ্টিয়া জিলা স্কুল থেকে এস.এস.সি, কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ থেকে এইচ.এস.সি পাশ করে পরবর্তীতে পড়াশোনা করেছেন কম্পিউটার বিজ্ঞান এবং প্রকৌশলে, আহসানউল্লাহ বিশ্ববিদ্যালয়ে । লেখালেখির শুরুটা ছিল স্পোর্টস ওয়েবসাইটের একটি প্রতিযোগিতার মাধ্যমে । পরবর্তীতে স্পোর্টস, মৌলিক ছোটগল্প, ওয়েস্টার্ন, গোয়েন্দা গল্প অনুবাদ ইত্যাদি নিয়ে লেখালেখি চলতে থাকে । 'রামেসিসঃ দ্য লেডি অফ আবু সিম্বেল' তার অনুদিত দ্বিতীয় বই। আদী প্রকাশন থেকে তার প্রথম প্রকাশিত অনুবাদগ্রন্থ 'দ্য সুলতানস হারেম' | বর্তমানে একাধিক অনুবাদ ও মৌলিক উপন্যাসের কাজে ব্যস্ত আছেন তিনি ।