ফ্ল্যাপের কিছু কথাঃ একজন মানুষের জীবনের কাছে কাম্য সবকিছুই পেয়েছে লারা ক্যামেরন। তরুণী, সুন্দরী, সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টায় বড় হয়ে ওঠা বিশ্বের অন্যতম ধনবতী এই নারী পুরুষদের সঙ্গে টক্কর দিতে ভীত নয় এবং সে তার প্রতিদ্বন্দ্বীদের ধরাশায়ী করে উঠে এসেছে আন্তর্জাতিক খ্যাতির শীর্ষে। কিন্তু তার গ্লানিকর একটা অতীত আছে যার কথা কেউ জানে না। এ অতীতকে ঢেকে রাখতে চায় লারা।
লারা বিশ্বখ্যাত পিয়ানোবাদক ফিলিপ অ্যাডলারকে বিয়ে করেছে। লারার মত অ্যাডলারও ক্যারিয়ারের স্বার্থে জলাঞ্জলী দিয়েছে ব্যক্তি জীবন। লারার ধারণা, নিয়তিকে সে হাতের মুঠোয় পুরে নিয়েছে। কিন্তু সে জানে না তার এতদিনের পরিশ্রম করে গড়ে তোলা সাম্রাজ্য ভেঙে চুরচুর করে ফেলার জন্য কবর থেকে উঠে আসছে ভয়ংকর অতীত।
চার দশকের সময়কে ধারণ করা এ গল্প গড়ে উঠেছে স্কটল্যান্ড, নোভাস্কটিয়া, শিকাগো, নিউ ইয়র্ক, লন্ডন, রোম এবং রেনোকে নিয়ে। প্রেম, ভালোবাসা, ষড়যন্ত্র, উচ্চাকাঙ্ক্ষা এবং প্রতিশোধ নিয়ে আবর্তিত হওয়া দ্য স্টারস শাইন ডাউন নিঃসন্দেহে সিডনি শেলডনের আরেকটি অপূর্ব সৃষ্টি!
সিডনি শেলডন
বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় থ্রিলার লেখক সিডনি শেলডন। তাঁর প্রথম বই ‘দ্য নেকেড ফেস’কে নিউইয়র্ক টাইমস অভিহিত করেছিল বছরের সেরা রহস্যোপন্যাস' বলে। শেলডন যে ১৮টি থ্রিলার রচনা করেছেন, প্রতিটি পেয়েছে ইন্টারন্যাশনাল বেস্ট সেলারের মর্যাদা। তার সবচেয়ে হিট রােমাঞ্চোপন্যাসের মধ্যে রয়েছে : দ্য আদার সাইড অভ মিডনাইট, ব্লাড লাইন, রেজ অভ এঞ্জেলস, ইফ টুমরাে কামস, দ্য ডুমসডে কন্সপিরেসি, মাস্টার অব দ্য গেম, দ্য বেস্ট লেইড প্ল্যানস, মেমােরিজ অভ মিডনাইট ইত্যাদি। এই বিখ্যাত লেখক ২০০৭ সালের জানুয়ারি মাসে মৃত্যুবরণ করেন।
অনীশ দাস অপু
জন্ম ৫ ডিসেম্বর ১৯৬৯ সাল জন্মস্থান বরিশাল, পিতা প্ৰয়াত লক্ষী কান্ত দাস। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ে অনার্স সহ এম, এ করেছেন। ১৯৯৫ সালে লেখালেখির প্রতি অনীশের ঝোক ছেলেবেলা থেকে ছাত্রাবস্থায় তিনি দেশের শীর্ষস্থানীয় সাপ্তাহিক, পাক্ষিক এবং মাসিক পত্রিকাগুলোতে চিত্তাকর্ষক ফিচার, গল্প এবং উপন্যাস অনুবাদ শুরু করেন। হরর এবং থ্রিলারের প্রতি তাঁর ঝোকটা বেশি। তবে সায়েন্স ফিকশন, ক্লাসিক এবং অ্যাডভেঞ্জার উপন্যাসও কম অনুবাদ করেননি। এ পর্যন্ত তাঁর অনুদিত গ্ৰন্থ সংখ্যা ১০০’র বেশি। অনীশ দাস অপু লেখালেখির পাশাপাশি সাংবাদিকতা পেশায় জড়িত। তিনি দৈনিক যুগান্তর- এ সিনিয়র সাব এডিটর হিসেবে কাজ করেছেন । তবে লেখালেখিই তার মূল পেশা এবং নেশা ।