দ্যা রিভার্টসঃ ফিরে আসার গল্প (হার্ডকভার)
বইবাজার মূল্য : ৳ ২২১ (১৫% ছাড়ে)
মুদ্রিত মূল্য : ৳ ২৬০
প্রকাশনী : গার্ডিয়ান পাবলিকেশনস
বিষয় : মুসলিম ব্যক্তিত্ব
দ্যা রিভার্টস বা ফিরে আসার গল্প। বইটিতে আমরা জানবো পশ্চিমা দুনিয়ায় আধুনিক সব সুযোগ-সুবিধার মধ্যে বেড়ে উঠেও কি করে মানুষ শান্তির আশায় হন্যে হয়ে ঘুরছে। আমরা জানবো, কি করে তারা খুঁজে পেলেন জীবনের আসল উদ্দেশ্য, আলোর পথ। জেনে নিবো অতীত মুছে ফেলে নতুন জীবন গড়তে কোন জিনিস তাদের উদ্বুদ্ধ করেছে। . *একজন খ্রিষ্টান পাদ্রি, একজন ধার্মিক যোদ্ধা, অনুশাসন মানা একজন হিন্দু যুবক আর মামার আমন্ত্রনে ফিলিস্তিনে ঘুরতে আসা পোল্যান্ডের এক ইহুদী তরুন। চার ধর্মের চারজন। কেমন করে পাল্টে গেলেন সবাই? *বাবরি মসজিদ নিজভাতে ভেঙেছেন বলবির সিং। এক সময় যা নিয়ে অনেক গর্ব করতেন। কিন্তু তার মনে কিসের এতো ব্যাথা আজ? বাবরী মসজিদ ভেঙে দেয়ার হাত আজ কেন মসজিদ গড়ার কাজে ব্যাস্ত? *লন্ডনের বুকে গড়ে ওঠা তিন যুবক। টাকা পয়সা, অর্থ বিত্ত, খ্যাতির কনো অভাব নেই। তবুও শান্তি নেই মনে। শান্তির আশায় কতকি করে গেলেন! পেয়েছিলেন কি? *আধুনিক আমেরিকার দুজন মানুষ। একজন অবিশ্বাসী নাস্তিক। অন্যজন সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবের স্বপ্নে বিভোর (ডঃ বিলাল ফিলিপস)। দুজনের জীবনে নাটকীয় পরিবর্তন এলো। কিন্তু কি করে? *MTV চ্যানেলের বিশ্ববিখ্যাত উপস্থাপিকা। পুরো ইউরোপের ঘরে ঘরে চেনা মুখ। একদিন দেখা হল পাকিস্তানের বিশ্বকাপ জয়ী ক্রিকেটার ইমরান খানের সাথে। তারপর? . জানতে হলে পড়ুন ‘দ্যা রিভার্টসঃ ফিরে আসার গল্প’
এই ধর্মবিবর্জিত আধুনিক সময়ে আঠারো-উনিশ বছরের তরুণ-তরুণী আসলে কী চায়? কী তাদের সুখি করে? ঘুরে ফিরে আসবে দামি ল্যাপটপ, মোবাইল, নাটক-সিনেমা, গান, মাদক, কিংবা একজন ভালোবাসার মানুষের কথা। কিন্তু বাস্তবেই কি এগুলো মানুষকে সুখি করতে পারে? তাই যদি হতো, তাহলে কেন আজ ঘরে ঘরে এত অশান্তি? কেন বাড়ছে আত্মহত্যা, হতাশা আর মাদকের ব্যবহার? কেন বাড়ছে খুন, হত্যা,ধর্ষণ? সত্যিকারার্থে মানুষের সুখ কোথায়? কোথায় পাওয়া যায় মনের গভীরের প্রশান্তি? আসলে মানুষের জীবনের উদ্দেশ্যই বা কী? এসব প্রশ্নের উত্তর নিয়ে আমাদের প্রয়াস ‘দ্যা রিভার্টস: ফিরে আসার গল্প’। আমরা জানব, পশ্চিমা দুনিয়ায় আধুনিক সব সুযোগ-সুবিধার মধ্যে বেড়ে উঠেও কী করে মানুষ শান্তির আশায় হন্য হয়ে ঘুরছে। আমরা জানব, কী করে তারা খুঁজে পেলেন জীবনের আসল উদ্দেশ্য, আলোর পথ। জেনে নেব, অতীত মুছে ফেলে নতুন জীবন গড়তে কোন জিনিস তাদের উদ্বুদ্ধ করেছে।
এই ধর্মবিবর্জিত আধুনিক সময়ে আঠারো-উনিশ বছরের তরুণ-তরুণী আসলে কী চায়? কী তাদের সুখি করে? ঘুরে ফিরে আসবে দামি ল্যাপটপ, মোবাইল, নাটক-সিনেমা, গান, মাদক, কিংবা একজন ভালোবাসার মানুষের কথা। কিন্তু বাস্তবেই কি এগুলো মানুষকে সুখি করতে পারে? তাই যদি হতো, তাহলে কেন আজ ঘরে ঘরে এত অশান্তি? কেন বাড়ছে আত্মহত্যা, হতাশা আর মাদকের ব্যবহার? কেন বাড়ছে খুন, হত্যা,ধর্ষণ? সত্যিকারার্থে মানুষের সুখ কোথায়? কোথায় পাওয়া যায় মনের গভীরের প্রশান্তি? আসলে মানুষের জীবনের উদ্দেশ্যই বা কী? এসব প্রশ্নের উত্তর নিয়ে আমাদের প্রয়াস ‘দ্যা রিভার্টস: ফিরে আসার গল্প’। আমরা জানব, পশ্চিমা দুনিয়ায় আধুনিক সব সুযোগ-সুবিধার মধ্যে বেড়ে উঠেও কী করে মানুষ শান্তির আশায় হন্য হয়ে ঘুরছে। আমরা জানব, কী করে তারা খুঁজে পেলেন জীবনের আসল উদ্দেশ্য, আলোর পথ। জেনে নেব, অতীত মুছে ফেলে নতুন জীবন গড়তে কোন জিনিস তাদের উদ্বুদ্ধ করেছে।
পৃথিবীর ১৩ জন বিখ্যাত মানুষ। তাঁরা কেউবা ছিলেন খ্রিস্টান কেউ ইহুদী আর কেউবা হিন্দু। তাঁরা ফিরে এসেছেন চিরশান্তির পথ ইসলামে। তাঁদের এই জার্নিটা মোটেও সহজ ছিল না। তাঁদের ইসলামে ফিরে আসার এই জার্নি নিয়ে প্রকাশিত হয়েছে ‘দ্যা রিভার্টস: ফিরে আসার গল্প’ বইটি।
ফিরে আসার গল্প: দ্যা রিভাটর্স বইটির পড়তে গিয়ে চিন্তার সাগরে ডুবে গেলাম। অথৈ পানিতে হাতড়াচ্ছিলাম নিজের জীবনকে। কত শত ভাবনা খেলে গেলো নিজের মধ্যে। জীবন মানে কি? জীবনের উদ্দেশ্য কি? শুধু খাচ্ছি-দাচ্ছি চলছি ফিরছি। এটাই কি জীবন হতে পারে? এই বইয়ে ১১জন মানুষের ইসলাম ধর্মে প্রত্যাবর্তন করার কাহিনী বর্ণিত হয়েছে। তাদের মধ্যে সাংবাদিক, খ্যাতনামা টিবি ব্যক্তিত্ব, কেউ ডাক্তার কেউ সুপ্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। এমন কি ছিলেন খ্রিষ্টান পাদ্রী, বৌদ্ধ ধর্মে দীক্ষিত পণ্ডিত এবং বাবরি মসজিদ ভাঙ্গা নিয়ে গর্ব করা ভারতীয় যুবক। সবাই নিজ নিজ জায়গায় অর্থ-বিত্তে সফল ব্যক্তি ছিলেন। জীবনের যশ খ্যাতি, এত-এত ধন-সম্পত্তি, আরাম আয়েশ সহ বাহ্যিক জীবনের সব কিছু থাকা সত্ত্বেও সবাই কিসের শূন্যতায় ভুগছিলেন? কেন তারা আরাম বিছানায় ঘুমিয়ে শান্তি পাচ্ছিলেন না? কেন তারা তাদের সুস্বাদু খাবার-দাবার, আলিশান বাড়ি ঘরে থেকেও তৃপ্ত হচ্ছিলেন না? কিসের টানে তারা বেছে নিয়েছেন কষ্টের জীবন? চ্যালেঞ্জ করেছেন জীবনকে? চ্যালেঞ্জ করেছেন প্রতিকুল পরিবারকে, বিরুদ্ধবাদী সমাজ কে? গল্পে গল্পে সেসব কথা এই বইয়ে বলা হয়েছে। জন্ম সূত্রে মুসলমান হওয়া আর একটু একটু জেনে বুঝে মুসলমান হওয়া এক কথা নয়। আমার বাবা মুসলমান তাই আমিও মুসলমান। আমি গরুর গোস্ত খাই, আমি শুক্রবারে নামাজে যাই, কুরবানির ঈদে কুরবানি দিই। শুধু এতটুকুতেই ঈমানের দাবী পূরণ হয়ে যায়না। খাঁটি মুসলমান বা পূর্ণাঙ্গ মুসলমান হতে গেলে পুরো জীবনকেই ইসলামের রঙে রাঙাতে হয়। কারণ ইসলাম হলো, পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থা। খাঁটি মুমিন বান্দা হতে গেলে কুরআন বুঝতে হয়। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়তে হয়। কুরআন কি অর্থ সহ কখনো পড়েছি? আল্লাহ কি বলতে চেয়েছেন তা কি কখনো জানতে চেয়েছি? পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ কি পড়ি নিয়মিত? মানুষ কি বুঝতে পারে আমার চাল চলনে কথা বার্তায় আমার লেনদেনে আমি একজন মুসলমান? আমার ধর্মে ঘুষ খাওয়া নিষেধ তাই আমি ঘুষ খাই না। আমার ধর্মে সুদের লেনদেন নিষেধ তাই আমি সুদের লেনদেন করিনা। আমার ধর্মে মদ খাওয়া হারাম তাই আমি মদ খাইনা। আমার ধর্মে পরিবার পরিজনের যেমন হক আছে তেমনি প্রতিবেশীর হক আছে, আত্মীয়স্বজনের হক আছে। আমি এসব হক আদায় করে চলি কারণ আমার ধর্ম এমন করতে বলেছে। না করলে আমি আল্লাহর কাছে জবাবদিহি করতে হবে। এমন অনুভূতি কি আমার মধ্যে আছে? বইটি পড়তে পড়তে নিজের মধ্যে এসব আত্ম-জিজ্ঞাসাগুলো বিবেকে কড়া নাড়ছিল। আমি যদি মুসলমান পরিবারে জন্ম গ্রহণ না করে অন্য কোন ধর্মাবলম্বীদের ঘরে জন্মগ্রহণ করতাম তাহলে সব ধর্ম কর্ম যাচাই বাচাই করে ইসলাম ধর্মে কি ফিরে আসতে পারতাম? ইসলাম যে আল্লাহর একমাত্র মনোনীত ধর্ম সেটা কি মেনে নিয়ে ইসলামের আলোতে নিজের জীবনকে রঙিন করতে পারতাম? জন্ম সূত্রে মুসলমান হওয়া যে কত বড় সৌভাগ্যের সেটা এই আলোর ধর্মে যারা ফিরে এসেছে তারাই শুধু উপলব্ধি করতে পেরেছে। ফিরে আসার গল্প বইটি পড়তে গিয়ে সব চেয়ে যে বিষয়টা নিজেকে নাড়া দিচ্ছিল সেটা হলো যে ফিলিস্তিন আফগান মানুষদের সন্ত্রাসী ভেবে তাদের নিউজ কাভার করতে গিয়ে তাদের সাদাসিধে ব্যবহারিক জীবন, তাদের আতিথেয়তা তাদের আন্তরিকতা এসবে মুগ্ধ হয়ে পরবর্তীতে ইসলাম ধর্মে আগ্রহশীল হন সেই সাংবাদিক। তাই এটা হলফ করে বলা যায় মানুষের কাছে প্রিয় হবার জন্য বেশি কিছু করার প্রয়োজন পড়েনা। দেখা হলে একটু হাসি। তার সাথে আন্তরিক নম্রতার ব্যবহার। মাঝে মাঝে নিজ খাবার থেকে এক টুকরো ভাগ, দেখা হলে তার মঙ্গল কামনা এমন মামুলি অনেক কিছুই আপনার প্রতি অন্যের মুগ্ধতার জন্য অনেক সময় যথেষ্ট হয়ে পড়ে। কেউ যদি আলোর পথে ফিরতে চায়, সত্য ও সঠিক পথের সন্ধান চায় তাহলে স্রষ্টা তাকে অবশ্যই সে পথের সন্ধান দিয়ে থাকেন। কারণ, তখন যদি স্রষ্টা সে সঠিক পথের বা আলোর পথের সন্ধান না দিয়ে থাকেন তাহলে স্রষ্টাকেই এক সময় জিজ্ঞাসা করা হবে, কেন আমাকে শাস্তি পেতে হবে আমি তো চেয়েছি তোমার মনোনীত ধর্মের সঠিক পথে আসতে। খুঁজেছি পথে পথে আলোর দিশা, কই আমি তো সে পথের দিশা পাইনি তাহলে কেন আজ আমাকে শাস্তি পেতে হবে? বইটি পড়ার পরে আমার মত আপনাদেরও মনে এই প্রশ্ন জাগা স্বাভাবিক। আসুন আমরাও নিজেদের কে একটু যাচাই করে নি। যদি এমন হয় অন্য ধর্মের বা অন্য রাষ্ট্রের এইরকম কেউ যদি আমাদের সাথে পরিচয় হয়, তাহলে আমাদের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের মধ্যে এমন কি কোন গুণ আছে যে গুণের মুগ্ধতা তাকেও আমাদের এত সুন্দর ধর্মের প্রতি আগ্রহশীল করে তুলবে? নাকি আমরা তাদেরকে উল্টো ঠকানোর সুযোগ খুঁজবো। অথবা খারাপ ব্যবহারে উল্টো তার মন বিষিয়ে দিবো।