ফ্ল্যাপের কিছু কথাঃ জ্যাক হিগিন্সকে বলা হয় ‘ওয়ার্ল্ড মাস্টার থ্রিলার রাইটার।’ তাঁর বই এ পর্যন্ত ৩০০ মিলিয়ন কপিরও বেশি বিক্রি হয়েছে, অনূদিত হয়েছে ৫৫ টি ভাষায়। বাংলাদেশে আমরাই প্রথম জ্যাক হিগিন্সের থ্রিলার বাংলাভাষায় অনুবাদ করেছি। জ্যাক হিগিন্সের জন্ম বেলফাস্টে, তিনি ১৫ বছর বয়সে স্কুল ত্যাগ করেন। তারপর তিন বছর রয়্যাল হর্স গার্ডসে কাজ করেছেন পূর্ব জার্মান সীমান্তে, ঠাণ্ডা যুদ্ধ চলাকালীন। লেখালেখির আগে জীবন ও জীবিকার প্রয়োজনে বিভিন্ন বিচিত্র পেশায় অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন হিগিন্স। সার্কাসের হিসাবের খাতা লিখেছেন, চালিয়েছেন ট্রাক, কেরানি হয়ে কলমও পিষেছেন বেশ কিছুদিন। সোশিওলজি এবং সোশাল সাইকোলজিতে অনার্স ডিগ্রি নেয়ার পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক হিসেবে কিছুকাল কাজ করেছেন। হিগিন্সের প্রথম বই ‘দ্র ঈগল হ্যাজ ল্যান্ডেড’ এনে দেয় থ্রিলার লেখক হিসেবে আন্তর্জাতিক খ্যাতি। তারপর থেকে নিরন্তর শাসরুদ্ধকর সব রোমাঞ্চোপন্যাস রচনা করে চলেছেন তিনি। তাঁর লেখা বেশ কিছু উপন্যাস চলচ্চিত্রায়িত হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ‘দ্য ভায়োলেন্ট এনিমি’, দ্য র্যাথ অব গড’, ‘থান্ডার পয়েন্ট’, ‘কনফেশনাল’, ‘নাইট অব দা ফক্স;, ‘আই অব দা স্টর্ম’, ‘অল ডেঞ্জারাস গ্রাউন্ট’, ‘টাচ দা ডেভিল’, ‘লুসিয়ানোস লাক’ ইত্যাদি। তাঁর প্রথম থ্রিলার ‘দ্য ঈগল হ্যাজ ল্যান্ডেড’ও একটি ব্যবসাসফল ছবি। হিট হয়েছে ‘দ্য প্রেসিডেন্ট’স ডটার’ও।
জ্যাক হিগিন্স
অনীশ দাস অপু
জন্ম ৫ ডিসেম্বর ১৯৬৯ সাল জন্মস্থান বরিশাল, পিতা প্ৰয়াত লক্ষী কান্ত দাস। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ে অনার্স সহ এম, এ করেছেন। ১৯৯৫ সালে লেখালেখির প্রতি অনীশের ঝোক ছেলেবেলা থেকে ছাত্রাবস্থায় তিনি দেশের শীর্ষস্থানীয় সাপ্তাহিক, পাক্ষিক এবং মাসিক পত্রিকাগুলোতে চিত্তাকর্ষক ফিচার, গল্প এবং উপন্যাস অনুবাদ শুরু করেন। হরর এবং থ্রিলারের প্রতি তাঁর ঝোকটা বেশি। তবে সায়েন্স ফিকশন, ক্লাসিক এবং অ্যাডভেঞ্জার উপন্যাসও কম অনুবাদ করেননি। এ পর্যন্ত তাঁর অনুদিত গ্ৰন্থ সংখ্যা ১০০’র বেশি। অনীশ দাস অপু লেখালেখির পাশাপাশি সাংবাদিকতা পেশায় জড়িত। তিনি দৈনিক যুগান্তর- এ সিনিয়র সাব এডিটর হিসেবে কাজ করেছেন । তবে লেখালেখিই তার মূল পেশা এবং নেশা ।