ফ্ল্যাপের কিছু কথাঃ জুলুফিকার নিউটনকৃত আলবেয়ার কাম্যুর দি প্লেগ উপন্যাস অনুবাদিত উপন্যাসটি ভাবানুবাদ নয় তবে আক্ষরিক অনুবাদও নয়। কোথাও কোথাও তিনি একটু বদলে নিয়েছেন, সামান্য সম্প্রসারিত করেছেন কোথাও কোথাও , কিন্তু কখনোই মূল সুরকে বিক্রিত বা ব্যাহত হতে দেননি। বাংলা ছন্দের ব্যাপক ঐতিহ্য এবং বাংলা ভাষায় শব্দভাণ্ডারকে তিনি তাঁর অনুবাদে নিপুণ ভাবে ব্যবহার করেছেন। কিছু কিছু শব্দ প্রয়োগের মধ্য দিয়ে এটাও বুঝা যায় যে অনুবাদক সচেতন ভাবে তার অনুবাদ সম্পর্কে আমাদেরকে নিজস্ব সামাজিক সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলের সঙ্গে একাত্ব করতে প্রয়াস পেয়েছেন। তবে এ জাতীয় কয়েকটি প্রয়োগের অপরিহার্যতা বা উৎকর্ষ নিয়ে প্রশ্ন তোলার অবকাশ আছে। কিন্তু ব্যাপক অর্থে জুলফিকার নিউটনের ভাষা বেগবান, বিষয়ের সঙ্গে সুসামঞ্জস্য, বক্তব্য, পটভূমি, চরিত্র ইত্যাদির সঙ্গে সঙ্গতি রক্ষা করে ছন্দ ও শব্দের যে বৈচিত্র্য তিনি এনেছেন তা বিশেষ প্রশংসনীয়।
জুলফিকার নিউটন
আলবার্ট কামুস
আলবেয়র কামু জন্মেছিলেন অলজেরিয়ায় ৭ নভেম্বর ১৯১৩ সালে। শৈশব কেটেছে দারিদ্র্যে, তবু সুখের। অভাব ঘটেনি। আলজিয়ার্স বিশ্ববিদ্যালয়ে দর্শন নিয়ে পড়াশােনা করে সাংবাদিক হন, এবং তারই সঙ্গে কর্মীদলের নাট্যগােষ্ঠি' নামে নতুন ধারার যুবনাট্য দল গঠন করেন। তার প্রথম দিকের রচনাগুলি 'দ্য রং সাইড এ্যান্ড দ্য রাইট সাইড' এবং 'নাপশিয়ালস” নামে সঙ্কলিত হয়েছিল। তারপর প্যারী সয়ার’ সংবাদপত্রে কর্মোপলক্ষে কিছুকালের জন্য প্যারীবাসী। হন। আলজিয়ার্স-এ ফিরে আসলেও, কিন্তু পুনরায় প্যারীবাসী হন। প্যারীতে ফিরে আসার পর তার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপন্যাস ‘লে এত্রাজে' এবং ‘লে। মিথ দ্য সিসিফাস’ নামের দীর্ঘ রচনা প্রকাশিত হয় । ১৯৪২ সালে প্রকাশিত ‘লে এত্রাজে’ (বহিরাগত)। একটি অস্তিতধর্মী কালজয়ী উপন্যাস। ১৯৪১ সালে। ফ্রান্সকে জার্মান দখলমুক্ত করার উদ্দেশে গঠিত। প্রতিরােধ বাহিনীর সদস্য হন। ১৯৫০ এর দশকে নাট্য জগতে পুনরায় সক্রিয় হন ১৯৫৭ সালে। সাহিত্যে নােবেল পুরস্কার লাভ করেন। ৪ জানুয়ারি। ১৯৬০ সালে এক সড়ক দুর্ঘটনায় তিনি মৃত্যুবরণ। করেন। অনুবাদক : সুনীতি চরণ ভট্টাচার্য্য, ১ মার্চ ১৯৩৩ সালে কলকাতায় জন্ম। সরকারি চাকরি করতেন। বিভিন্ন ভাষায় পারদর্শী সুনীতি চরণ ভট্টাচাৰ্য ১৯৭৫। সাল থেকে নিয়মিত অনুবাদ করছেন। বিভিন্ন ভাষার চল্লিশটি বই অনুবাদ করেছেন এবং প্রকাশিত হয়েছে।