নৃশংস যৌন-নিপীড়নের পর খুন করা হলাে বাচ্চা ছেলে, ফ্র্যাঙ্ক পিটারসনকে। হত্যার দায়ে মূল সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করতে সময় লাগল না। সবার সামনে, খেলার মাঠ থেকে গ্রেফতার করা হলাে কোচ টেরেন্স মেটল্যান্ডকে। ফ্লিন্ট সিটি পিডির গােয়েন্দা, রালফ অ্যান্ডারসনের মনে বিন্দুমাত্র সন্দেহ নেই। আসল লােকটিকেই গ্রেফতার করেছে সে। এদিকে টেরির দাবী, ঘটনার সময় সে ছিল ভিন্ন একটা শহরে! শুধু দাবীই নয়, প্রমাণ হিসেবে দেখাল স্থানীয় টিভি চ্যানেলে প্রদর্শিত ভিডিয়াে ফুটেজও! একজন মানুষ কি একই সময়ে দুই জায়গায় থাকতে পারে?
আদালত-ভবনের সিঁড়িতে, গুলি করে মারা হলাে কোচ টেরিকে। বন্ধ হয়ে গেল কেস। দৃশ্যপটে আগমন হলাে ‘ফাইন্ডার্স কিপার্স’ প্রতিষ্ঠানের অনুসন্ধানকারী, হলি গিবনির। আর এসেই সে আবিষ্কার করে বসল কেসের মােড় ঘুরিয়ে দেয়া একাধিক প্রমাণ।
টেরির হত্যাকান্ডের সঙ্গে কেন মিলে যাচ্ছে শত শত মাইল দূরে সংঘটিত আরেকটি হত্যাকান্ড? কেন গা শিউরে দেয়া এক লােক হুমকি দিচ্ছে টেরির মেয়ে গ্রেস, সহকর্মী জ্যাক আর রালফের স্ত্রী জেনিকে? লােকটি কি আমাদের দুনিয়ার মানুষ? নাকি এসেছে অন্য কোনাে জগৎ থেকে?
লােকটি অথবা সত্তাটিকে...থামাতেই হবে…
স্টিফেন কিং
জীবিতকালেই কিংবদন্তি হয়ে ওঠা লেখক স্টিফেন কিং-এর জন্ম ১৯৪৭ সালে আমেরিকার পাের্টল্যান্ড রাজ্যের মেইন শহরে। বয়স যখন মাত্র দু-বছর তখনই তার বাবা তাদের ছেড়ে চলে যায়, ফলে প্রচণ্ড দারিদ্রের মধ্যে বেড়ে ওঠেন তিনি। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি-সাহিত্যে ডিগ্রি নেবার পর হাইস্কুলের শিক্ষক হিসেবে কিছুদিন কাজ করেছেন। ১৯৭৪ সালে তার প্রথম উপন্যাস ক্যারি প্রকাশিত হলে আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। রিটা হেওয়ার্থ অ্যান্ড শশাঙ্ক রিডেম্পশান তার ‘ডিফারেন্ট সিজন’ নামের একটি গল্পসঙ্কলনে নভেলা হিসেবে প্রকাশিত হয়। ছােট পরিসরের হলেও এই নভেলাটি কিং-এর উল্লেখযােগ্য একটি কাজ। ১৯৯৪ সালে এই নভেলাটি নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণ করা হলে সেটা সর্বকালের অন্যতম সেরা চলচ্চিত্র হিসেবে স্বীকৃতি পায়। অসংখ্য পুরস্কারে ভূষিত স্টিফেন কিংকে ২০০৩ সালে আমেরিকার ন্যাশনাল বুক ফাউন্ডেশন বিশেষভাবে সম্মানিত করা হয়। তার দুই ছেলেও লেখক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। বিশেষ করে জো হিল বর্তমান সময়ে বেশ ভালাে কিছু উপন্যাস উপহার দিয়েছেন। এ বয়সেও একের পর এক বেস্টসেলার উপহার দিয়ে যাচ্ছেন স্টিফেন কিং।