‘দ্য নিউ লাইফ’ বইয়ের ফ্ল্যাপের কথা: ২০০৬ সালের নোবেল বিজয়ী সাহিত্যিক ওরহান পামুক সাতটি উপন্যাসের জনক, এর মধ্যে পাঁচটি ইংরেজি ভাষায় অনূদিত হয়েছে। তুরস্কের সবচেয়ে জনপ্রিয় লেখক তিনি, পেয়েছেন অসংখ্য আন্তর্জাতিক সাহিত্য পুরস্কার, এর মধ্যে রয়েছে ইমপ্যাক অ্যাওয়ার্ড। ‘মাই নেম ইজ রোড’ গ্রন্থের জন্য এ পুরস্কার অর্জন করেন তিনি। ইউরোপের সবচেয়ে প্রসিদ্ধ লেখকদের অন্যতম ওরহান পামুক-এর বই কুড়িটিরও বেশি ভাষায় অনুবাদ হয়েছে। তিনি ইস্তাম্বুলে বসবাস করছেন। ভূমিকা: ওসমান, এক তরুণ ইউনিভার্সিটির ছাত্র যে একদিন একটি যাদুর বই হাতে পায় এবং বইটি তাকে নিয়ে যায় তার নিজের এবং ভালোবাসার এক বিপজ্জনক প্রকৃতিতে। সে বাড়ি, পরিবার এবং তার লেখাপড়া ছেড়ে বইয়ের গভীর গোপন বিষয়গুলোর অর্থ খুঁজতে রাস্তায় বেরিয়ে পড়ে। দ্য নিউ লাইফকে বলা যায় অর্ধেক রোড নভেল এবং বাকিটা মেটাফিজিক্যাল থ্রিলার, পাঠক বইটি পড়তে গিয়ে অনেক জায়গায়ই হয়তো ধাক্কা খাবেন, মনে হবে এক ফ্যান্টাসির জগত থেকে আরেক ফ্যান্টাসির জগতে ঢুকে পড়েছেন। অনেক জায়গা ধোঁয়াশা মনে হবে, কোথাও কোথাও হয়তো ব্যাখ্যাও খুঁজে পাবেন না। তবু বইটির অমোঘ আর্কষণে তিনি সামনে এগিয়ে যেতেই থাকবেন। বইটির একদম শেষে এসে সকল রহস্যের জট খুলে যাবে। বিমূর্ত উপন্যাসটি অবশেষে পাঠকের কাছে মূর্ত হয়ে ধরা দেবে, অনেক অব্যাখ্যাত প্রশ্নের ব্যাখ্যা মিলবে। এ বইটি সম্পর্কে লেখক অ্যালেন লি বোটন মন্তব্য করেছেন, “এ বইতে ওরহান পামুক অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে টার্কিশ হিন্টারল্যাণ্ড, অ্যানাটালিয়ান স্তেপ, এবং এর ছোট ছোট শহরগুলোর পরিবেশকে দারুণভাবে তুলে এনেছেন।” সানডে টাইমস-এর মতে, “এ হলো গোয়েন্দা গল্প এবং রূপককাহিনীর সংমিশ্রণ... পামুক ফ্যান্টাসি, রিয়েলিজম, ইনজেকুইটি এবং অবজারভেশন এ চারটি জিনিসকে একত্রে মিশিয়ে দারুণ একটি উপন্যাস রচনা করেছেন।”
ওরহান পামুক
অনীশ দাস অপু
জন্ম ৫ ডিসেম্বর ১৯৬৯ সাল জন্মস্থান বরিশাল, পিতা প্ৰয়াত লক্ষী কান্ত দাস। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ে অনার্স সহ এম, এ করেছেন। ১৯৯৫ সালে লেখালেখির প্রতি অনীশের ঝোক ছেলেবেলা থেকে ছাত্রাবস্থায় তিনি দেশের শীর্ষস্থানীয় সাপ্তাহিক, পাক্ষিক এবং মাসিক পত্রিকাগুলোতে চিত্তাকর্ষক ফিচার, গল্প এবং উপন্যাস অনুবাদ শুরু করেন। হরর এবং থ্রিলারের প্রতি তাঁর ঝোকটা বেশি। তবে সায়েন্স ফিকশন, ক্লাসিক এবং অ্যাডভেঞ্জার উপন্যাসও কম অনুবাদ করেননি। এ পর্যন্ত তাঁর অনুদিত গ্ৰন্থ সংখ্যা ১০০’র বেশি। অনীশ দাস অপু লেখালেখির পাশাপাশি সাংবাদিকতা পেশায় জড়িত। তিনি দৈনিক যুগান্তর- এ সিনিয়র সাব এডিটর হিসেবে কাজ করেছেন । তবে লেখালেখিই তার মূল পেশা এবং নেশা ।