ইতিহাস হল দর্পণ। কোন জাতির উত্থান-পতন, যাপিত জীবনপ্রবাহের ধারণা পেতে হলে ইতিহাসের আশ্রয় নিতে হয়। ইতিহাস শুধু জানার জন্য পাঠ করা হয় না; হওয়া উচিৎও নয়। ইতিহাসের পাঠ মূলত ভবিষ্যতের কর্মপদ্ধতি নির্ণয় করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। ইতিহাসের স্বচ্ছ ও নির্মোহ পাঠ আমাদের বর্তমানকে বর্ণময় করতে অনুপ্রাণিত করে। ইতিহাসের নিজস্ব কোন চরিত্র নেই; এটি অতীতের বাঁকে-বাঁকে সংঘটিত জীবনের বিক্ষিপ্ত গল্পের চিত্রায়ন মাত্র। আর তাই ইতিহাসের আলােচিত চরিত্রগুলোেই আমাদের ইতিহাসপাঠের মূলে প্রেরণা যােগায়। সময়ের তুমুল আলােচিত ব্যক্তিবর্গের গতর বেয়েই তাই আমরা ইতিহাসের চূড়ায় পৌঁছই। ইসলামের হাজারবছরের এ। পথচলায় তেমনি রয়েছে অগুনিত গল্প ও গল্পকার। যাদের কেন্দ্র করে। রচিত হয়েছে কতশত ঘটনা। যুগ যুগ ধরে ইতিহাসের সে সব মহান ব্যক্তির যুগান্তকারী কর্ম ও সাধনা উম্মাহর প্রেরণার বাতিঘর হিসেবে আলাে বিলিয়েছে। উম্মাহ বার-বার ফিরে গেছে সােনাঝরা সে ইতিহাসের পুনর্পাঠ নিতে৷ নিজেদের ভুলগুলাে শুধরে নিতে, কর্মপদ্ধতি ঠিক করতে ইতিহাসের সে সব বরিত ও মানিত ব্যক্তির জীবন ও কর্মের দ্বারস্থ হতে হয় তাকে। ইতিহাসের সে সব মহীরুহ ব্যক্তিত্বের সাথে পরিচয় করিয়ে দিতে তাই আমাদের এ আয়ােজনইতিহাসের স্বর্ণসূত্র।