“একজন নির্দোষ মানুষের মতো ভয়ানক মক্কেল আর হয় না।”
মাইকেল হলার একজন ক্রিমিনাল ডিফেন্স অ্যাটর্নি। আদালতে সমাজের নীচু স্তরের মানুষদের প্রতিনিধিত্ব করেই ক্যারিয়ার কেটেছে তার। আইনের মারপ্যাঁচে অপরাধীদের বেরিয়ে আসার জন্য ফাঁকফোকর সৃষ্টি করতে ওস্তাদ। আইন তার কাছে কোনো মহান অর্থ বহন করে না। কিন্তু প্রতাপশালী উকিল মিকি হলারের মনের ভেতর সবসময় একটা ভয় ছিল: কোনো একদিন হয়তো এক নির্দোষ মানুষ এসে হাজির হবে তার মক্কেল হিসেবে, এবং সে তাকে চিনতে পারবে না।
বেভারলি হিলসের প্লেবয় লুইস রুলে তখন এক মহিলাকে আক্রমণের দায়ে জেলে গেল। সে যেচে এলো হলারের কাছে মক্কেল হিসেবে। বিশাল অঙ্কের টাকা সাধল আদালতে তার প্রতিনিধিত্ব করার বিনিময়ে। যে-কোনো ডিফেন্স অ্যাটর্নির স্বপ্ন এমন ধনী মক্কেল। কিন্তু রুলের আচরণ বারবার হলারের মনে খটকা সৃষ্টি করছে। কিছুতেই শান্তি দিচ্ছে না তাকে। রুলের এ আত্মবিশ্বাসের মানে কি সে আসলেই সেই দুর্লভ, নির্দোষ মক্কেল? নাকি সে একজন ঠান্ডা মাথার সাইকোপ্যাথ? আর রুলে যদি দোষী হয়ে থাকে, তবে আসলে নির্দোষ কে? জিসাস মেনেন্ডেজ কি নির্দোষ ছিল? তাকে তো সে ইতোমধ্যেই জেলে পাঠিয়ে দিতে সাহায্য করেছে?
হলার জীবনে প্রথমবারের মতো বিবেকের দংশনে কাতর হয়ে উঠছে। নিজের প্রফেশনাল অবস্থান আর নৈতিক দায়িত্বের মাঝে ভারসাম্য রাখার পথ খুঁজতে হিমশিম খাচ্ছে। ঠিক তখনই খুন হয়ে গেল তার বন্ধু ও ইনভেস্টিগেটর। পুলিশ সন্দেহ করতে শুরু করেছে স্বয়ং হলারকেই। এদিকে তার প্রাক্তন স্ত্রী আর মেয়ের ওপরও আসছে হুমকি। সবদিক রক্ষা করতে হলে তাকে এবার সমস্ত কূটবুদ্ধি আর আইনের মারপ্যাঁচের জ্ঞান কাজে লাগিয়ে লড়তে হবে।