হাডসন নদীর কাছের ছোট্ট শহর ট্যারি টাউন। এখানকার লোকেরা বেজায় আলসে। ভূতুড়ে গাল-গল্প ছড়াতে এদের জুড়ি নেই। কাছাকাছি অবস্থিত ‘স্লিপি হলো’ নামের এক উপত্যকাতে নাকি নানান ভূত-প্রেতরা ঘুরে বেড়ায়। আর তাদের মধ্যে সবচেয়ে বিখ্যাত হলো, ‘মুণ্ডুহীন ঘোড়সওয়ার’। সে নাকি এক হেসিয়ান সৈনিকের প্রেত, যুদ্ধের সময়ে কামানের গোলাতে যার মাথাটা উড়ে গেছিলো!
শহরের স্কুল শিক্ষক ইকাবড, দরিদ্র হ্যাংলা-পেটুক লোক। মজার মজার গল্প করে, বাচ্চাদের গান শেখায় আরো কতো কী যে করে!
ব্রম বোনস, এক বেপরোয়া যুবক! গায়ের জোরে তার সাথে পাল্লা দিতে পারে এমন কেউ পুরো এলাকাতে নেই। ঘোড়া চালাতেই ওর জুড়ি নেই।
এই দুই মেরুর দুটো মানুষ প্রেমে পড়লো একটা মেয়ের। ধনকুবের বালটুস ভ্যান ট্যাসেলের মেয়ে সুন্দরী ক্যাট্রিনা ভ্যান ট্যাসেল!
আর মুণ্ডুহীন ঘোড়সওয়ারের ভয়ে তো রাতের বেলা মানুষ বের হতেই চায় না… সুযোগ পেলেই নাকি একে ওকে তাড়া করে সে!
এখন? কী হবে? জানতে পড়ুন ওয়াশিংটন আরভিংয়ের কালজয়ী উপন্যাসিকা ‘দ্য লেজেন্ড অফ স্লিপি হলো’, হ্যালোইনের দিনগুলোতে যা এখনো পশ্চিমা দেশের রেডিওগুলোতেও সবচেয়ে বেশি শোনানো হয়। ‘ডুলাহান’ বা ‘মুণ্ডুহীন ঘোড়সওয়ার’ কিংবদন্তিকে উপজীব্য করে লেখা সবচেয়ে বিখ্যাত কাজও এটিই। কাহিনিটা আপনাকে যতোটা না ভয় পাওয়াবে তারচেয়ে বেশি পরিচয় করিয়ে দেবে সেকালের আমেরিকার কিছু উদ্ভট রীতির সাথে।
পড়ুন আর ভাবুন... গল্পটা আসলে কার?