নেকড়েদের বনে কোনাে একভাবে মা-বাবার কাছ থেকে হারিয়ে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় দুই বছরের একটা শিশু। শের খান নামের একবাঘ তাকে তাড়া করলেও ধরতে পারে না। শিশুটির ঠাই হয় এক নেকড়ে পরিবারে। মা নেকড়ে ওর নাম রাখে মােগলি। বন্ধু হিসেবে জুটে যায় ভল্লুক ভালু আর চিতা বাঘ বাঘিরা। নেকড়ে নেতা আকেলাও ওর বন্ধু। সময় পার হয়, বেড়ে ওঠে মােগলি ।
নানা ঘটন আর অঘটনের বিচিত্র ওর জীবন। বানরদের সঙ্গে খেলে ও। আবার সেই বানররাও ওকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। শের খান ওর পিছু লেগে থাকে দীর্ঘ দিন। নিজের শিকারের কথা কিছুতেই ভুলতে পারে না শের খান। শেষ পর্যন্ত মােগলিই তাকে শিকার করে। মানুষের সমাজও বিচিত্র অভিজ্ঞতা দেয় মােগলিকে। একদিকে স্নেহ-ভালবাসা আর আরেক দিকে হিংসা-দ্বেষ—একসঙ্গে চরম বিপরীতমুখী অভিজ্ঞতা হয় ওর।
এ বইয়ের প্রতিটি ঘটনা একটি আরেকটির চাইতে মজাদার। বারবার পড়া যায় এমন একটি বই ‘দ্য জঙ্গল বুক’ । মানুষ আর পশুপ্রবৃত্তির এক চমকার উপাখ্যান।
রুডিয়ার্ড কিপলিং
জোসেফ রুডইয়ার্ড কিপলিং (ইংরেজি: Joseph Rudyard Kipling; জন্ম: ৩০ ডিসেম্বর, ১৮৬৫ - মৃত্যু: ১৮ জানুয়ারি, ১৯৩৬) একজন ইংরেজ লেখক, কবি এবং সাহিত্যিক ছিলেন যিনি ভারতে জন্মগ্রহণ করেন। মূলত তার অসাধারণ শিশু সাহিত্যের জন্য সুখ্যাতি লাভ করেন। তাঁর অমর সৃষ্টিকর্মের মধ্যে রয়েছে শিশু সাহিত্য দ্য জাঙ্গল বুক, জাস্ট টু স্টরিস, পাক অফ পুক্স হিল, কিম; উপন্যাস কিম; কবিতা ম্যান্ডালে, গুঙ্গা ডিন ইত্যাদি। এছাড়াও ১৮৯৫ সালে তিনি অত্যন্ত জনপ্রিয় কবিতা ইফ - রচনা করেন। ছোটগল্প রচনার আধুনিক শিল্প নির্দেশনার একজন অন্যতম উদ্ভাবক হিসেবেও তার পরিচিতি রয়েছে। তবে সব দিক দিয়ে তার শিশু সাহিত্যগুলোই সবচেয়ে জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। এগুলোকে শিশু সাহিত্যের ইতিহাসে একেকটি অনন্য রচনা হিসেবে অভিহিত করা যেতে পারে। জেমস জয়েস একবার মত প্রকাশ করেছিলেন যে, 'ঊনবিংশ শতাব্দীর তিন ক্ষণজন্মা লেখক তলস্তয়, কিপলিং এবং দ্য'আনুনজিও; তাদের প্রকৃতি প্রদত্ত মেধা ছিল সবচেয়ে বেশি, কিন্তু তারা কেউই তাদের এই উপহারেরপূর্ণ ব্যবহার করতে পারেননি।' তিনি আরও বলেন, 'এই তিনজনেরই ধর্ম ও দেশপ্রেম সম্পর্কে অর্ধ-ফ্যানাটিক ধারণা ছিল।
১৯০৭ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। ১৯৩৬ সালে আকস্মিকভাবে মৃত্যুবরণ করলে তাঁকে লন্ডনেরওয়েস্টমিনিস্টার অ্যাবেতে সমাহিত করা হয়।