এটা শুরু হয়েছিল একটা প্রাচীন জার আর এটার পেছনের ইতিহাস নিয়ে গবেষণার ফলস্বরূপ। কিংবদন্তি আর যুক্তি জারটা খোলার দাবী জানাচ্ছিল, দ্যা জিনের রহস্য সত্যের আলোতে আনার জোরাল দাবী।
‘হঠাৎ করেই, জিনটা যেন গলে গিয়ে বিভিন্ন আকৃতিতে পরিবর্তিত হতে থাকল, পপি ফুলের ঝাঁঝালো গন্ধঅলা ধোঁয়ার ভেতর আবির্ভূত হল বিশালকায় এক জোঁক, অন্ধ চোখ আর সাদা শ্বদন্ত নিয়ে। অ্যানা ওর রূপার টুকরোটা তুলে ধরে পরিষ্কার কিন্তু ঝংকারপূর্ণ একটা অ্যারাবিক মন্ত্র বলল, যেভাবে দ্রæত জিনটা জোঁকের আকৃতি নিয়েছিল, ঠিক সেভাবেই ওটা আবার আকৃতিহীন অবস্থাতে ফেরত গেল আর নিজেকে অন্য একটা রূপে পরিবর্তিত করতে লাগল!’
‘আমরা একটা বিশাল ইঁদুর দেখতে পেলাম, অ্যানা সেই ঝংকারপূর্ণ শব্দগুলি আবার বলার পর জিনটা আবার পরিবর্তিত হয়ে গেল। আমরা দেখতে পেলাম আলী বাবার চল্লিশ চোর জিন তার ভয়ংকর চল্লিশটা রূপে ক্রমাগত বদলে যেতে লাগল, কিছু কিছু বুকে হেঁটে যাচ্ছিল, কিছুর ছিল কর্কশ দাঁত, কিছু ছিল কয়েলের মতো প্যাঁচানো, আবার কিছু একশোর মতো লোমঅলা পা নিয়ে লিকলিক করে হেঁটে যেতে লাগল!’
বলা হয়, প্রাচীনকালে বাগদাদের পথে যাবার সময় মুসাফিররা অদ্ভুত কোনো স্বরের দ্বারা প্রতারিত হত। সেই স্বরগুলি কখনও শোনাত বয়ে যাওয়া বাতাসের মতো, বা লাস্যময়ী কোনো রমণীর মতো কিংবা কোনো জন্তুর মতো যেগুলি কোনো মানুষ কখনও চোখে দেখেনি! জ্ঞানী ব্যক্তিরা বলেন, সেগুলি হল জিন বা জিন্নির স্বর, কোনো মুসাফির যদি সেই স্বর শোনে, তা হলে তার বা তাদের মানসিক সুস্থতা বা জীবনের জন্য সেখান থেকে দ্রæত পালিয়ে যাওয়া উচিত।