অনাথ, নিঃসঙ্গ মেয়ে জো। সবকিছুতেই কৌত‚হল তার। ওর বাড়ির পাশে একটা অদ্ভূত গড়নের বাড়ি, মারউইক হাউজ। হানাবাড়ি বলে বদনাম রয়েছে সেই বাড়ির। কেউ সে বাড়ির ত্রিসীমানায়ও ঘেঁষে না। কোনো পরিবার থাকতে পারে না বেশিদিন বাড়িটাতে। তালাবন্ধ বাড়ির জানালায় কার যেন ছায়া দেখা যায়। কোনো গাছপালা এমনকি আগাছাও জন্মায় না বাড়িটার চত্বরে। একদিন সেই বাড়িতে থাকতে এল কম বয়সি এক মেয়ে, এ্যানা। কৌত‚হলী জো বন্ধুত্ব গড়ে তুলল এ্যানার সাথে। বন্ধুর সাথে দেখা করার সুবাদে ভ‚তুড়ে বাড়িটাতে আনাগোনা বেড়ে গেল ওর। অদ্ভুত সব কাÐ ঘটতে থাকল ওদের সামনে। বন্ধুর বিপদে পাশে দাঁড়াল জো। অশুভ এক প্রেতের সাথে শুরু হল দুই বন্ধুর লড়াই। প্রাণ বাজি রেখে লড়াইএ নামল জো। নিখাঁদ বন্ধুত্ব, প্রেম আর হাড় কাঁপানো ভৌতিক আমেজে ভরা একটা দারুন গল্প “দ্য হাউজ নেক্স ডোর (হানাবাড়ি)।”
ডার্সি কোটস
জন্ম অস্ট্রেলিয়াতে। ২০১৪ সালে প্রথম প্রকাশিত হয় তাঁর লেখা ভৌতিক উপন্যাস ‘ঘোস্ট ক্যামেরা’। তুমুল জনপ্রিয়তা পায় তাঁর প্রথম লেখা। এরপর একের পর এক তিনি উপহার দিয়ে চলেন সার্থক সব ভৌতিক ও রহস্যোপন্যাস। দ্যা হান্টিং অব ব্ল্যাকউড হাউজ (২০১৫), দ্যা হান্টিং অব গিলেসপী হাউজ (২০১৫), ডেড লেক (২০১৫), প্যারাসাইট (২০১৬), দ্যা হাউজ নেক্সট ডোর (২০১৭), ক্রাভেন ম্যানর (২০১৭), দ্যা ক্যারো হান্ট (২০১৮) এরকম বিশটিরও অধিক জনপ্রিয় উপন্যাস লিখেছেন তিনি যার অধিকাংশই ইউএসএ টুডে বেস্ট সেলার বুক। এ্যামাজন বেস্ট সেলিং লেখকদের তালিকায়ও নাম রয়েছে তাঁর। অস্ট্রেলিয়াতে সেন্ট্রাল কোস্টে বাবা-মায়ের সাথে বসবাস করেন অবিবাহিত ডার্সি। বনজঙ্গলে ঘোরা, বই পড়া আর বিড়াল পোষা তাঁর শখ। তাঁর লেখা ভৌতিক উপন্যাসগুলো শহুরে ভৌতিক কাহিনী বলে মনে করা হয়।