১৯৩৭ সালের কথা। ওকামুরা গ্রামের সম্ভ্রান্ত ইচিইয়ানাগি পরিবার এর বড়ো ছেলে কেঞ্জোর বিয়ে হতে যাচ্ছে। স্বাভাবিকভাবেই গোটা গ্রামে উৎসবমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু এরকম আনন্দময় পরিবেশের মধ্যে একটা উদ্বেগজনক গুজব ছড়িয়ে পড়েছে—এক সন্দেহজনক ব্যক্তি নাকি গ্রামে তার ব্যাপারে খোঁজখবর নিচ্ছে।
বিয়ের রাতে এক বীভৎস চিৎকার, তারপর গা শিরশির করা কোতো বাদ্যযন্ত্রের সুরে ইচিইয়ানাগি পরিবারের ঘুম ভেঙ্গে গেল। ও কীসের শব্দ?
ওকামুরা গ্রামে মৃত্যুর আগমন ঘটেছে। খুনি তার চিহ্ন হিসেবে ঘরের বাইরে রক্তমাখা একটা তলোয়ার বরফে গেঁথে রেখে গিয়েছে। আর রেখে গিয়েছে তার তিন-আঙ্গুলের ছাপ।
অতি শীঘ্রই বিখ্যাত গোয়েন্দা কোসুকে কিনদাইচি’র ঘটনাস্থলে আগমন ঘটলো। শুরুতে খুবই সাধারণ একটা হত্যাকাণ্ড ভাবলেও ধীরে ধীরে সে বুঝতে পারলো, এ কেসটা তার জীবনের সবচেয়ে কঠিনতম কেসগুলোর একটি হতে যাচ্ছে। আপাতদৃষ্টিতে অসম্ভব এ কেসের সমাধান কি সে আদৌ খুঁজে বের করতে পারবে? নাকি কোতো বাদ্যযন্ত্রের মধুর শব্দের কাছে সে পরাজয় মেনে নিতে বাধ্য হবে?
সেইশি ইয়োকোমিজো
সেইশি ইয়োকোমিজো (1902-81) ছিলেন জাপানের সবচেয়ে বিখ্যাত এবং সবচেয়ে প্রিয় রহস্য লেখকদের একজন। তিনি কোবেতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন এবং তার শৈশব কাটিয়েছেন গোয়েন্দা গল্প পড়তে শুরু করার আগে, নিজের গল্প লিখতে শুরু করার আগে, যার মধ্যে প্রথমটি 1921 সালে প্রকাশিত হয়েছিল। তিনি একজন অত্যন্ত জনপ্রিয় এবং জনপ্রিয় লেখক হয়ে ওঠেন, যিনি তার কোসুকে কিন্দাইচি সিরিজের জন্য সর্বাধিক পরিচিত। , যা 77টি বই পর্যন্ত চলেছিল, যার মধ্যে অনেকগুলি জাপানে মঞ্চ এবং টেলিভিশনের জন্য অভিযোজিত হয়েছিল। পুশকিন ভার্টিগো থেকে হোনজিন মার্ডারস, দ্য ইনুগামি কার্স, গোকুমন দ্বীপে আটটি কবরের গ্রাম এবং মৃত্যুও পাওয়া যায়।