“দ্য গানস্লিংগার” প্যারালাল ইউনিভার্সের রোল্যান্ড নামের এক গানস্লিংগারের কাহিনি। এমন এক জগতে তার বসবাস যা অনেকটা আমাদের পৃথিবীর মতোই। কিন্তু ধীরে ধীরে ধ্বংসের মুখে এগিয়ে যাচ্ছে সেই জগত। রোলান্ডের যাত্রা শুরু হয় অন্তহীন মরুভূমির মাঝে এক কালো পোশাকধারীর পেছনে তাড়া করে ফেরার মাধ্যমে। কেন রোলান্ড এই লোকটির পেছনে ছুটছে?
কারণ এই লোকটির কাছেই হয়তো আছে রোলান্ডের প্রশ্নের উত্তর, যা নির্ধারণ করবে অগণিত পৃথিবীর ভাগ্য। রোলান্ডের যাত্রা চলছে টাওয়ারের উদ্দেশে। বহুবিশ্বের কেন্দ্রে যা এক রহস্যময় শক্তির উৎস।
এই যাত্রায় রোলান্ডের সঙ্গী হয় অন্য আরেকটি পৃথিবীর অন্য আরেক সময় থেকে আসা একটি ছেলে জেক। সঙ্গীহীন, বন্ধুহীন গানস্লিংগার এই ছেলেটির প্রতি একধরনের মায়ার বাঁধনে পড়ে যায়। কিন্তু টাওয়ারের পথ সহজ নয়। অগণিত পৃথিবীকে রক্ষা করার জন্য রোলান্ডকে হয়তো একটা নিষ্পাপ প্রাণকে বলি দিতে হতে পারে। রোলান্ডের পক্ষে কি তা সম্ভব?
স্টিফেন কিং
জীবিতকালেই কিংবদন্তি হয়ে ওঠা লেখক স্টিফেন কিং-এর জন্ম ১৯৪৭ সালে আমেরিকার পাের্টল্যান্ড রাজ্যের মেইন শহরে। বয়স যখন মাত্র দু-বছর তখনই তার বাবা তাদের ছেড়ে চলে যায়, ফলে প্রচণ্ড দারিদ্রের মধ্যে বেড়ে ওঠেন তিনি। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি-সাহিত্যে ডিগ্রি নেবার পর হাইস্কুলের শিক্ষক হিসেবে কিছুদিন কাজ করেছেন। ১৯৭৪ সালে তার প্রথম উপন্যাস ক্যারি প্রকাশিত হলে আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। রিটা হেওয়ার্থ অ্যান্ড শশাঙ্ক রিডেম্পশান তার ‘ডিফারেন্ট সিজন’ নামের একটি গল্পসঙ্কলনে নভেলা হিসেবে প্রকাশিত হয়। ছােট পরিসরের হলেও এই নভেলাটি কিং-এর উল্লেখযােগ্য একটি কাজ। ১৯৯৪ সালে এই নভেলাটি নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণ করা হলে সেটা সর্বকালের অন্যতম সেরা চলচ্চিত্র হিসেবে স্বীকৃতি পায়। অসংখ্য পুরস্কারে ভূষিত স্টিফেন কিংকে ২০০৩ সালে আমেরিকার ন্যাশনাল বুক ফাউন্ডেশন বিশেষভাবে সম্মানিত করা হয়। তার দুই ছেলেও লেখক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। বিশেষ করে জো হিল বর্তমান সময়ে বেশ ভালাে কিছু উপন্যাস উপহার দিয়েছেন। এ বয়সেও একের পর এক বেস্টসেলার উপহার দিয়ে যাচ্ছেন স্টিফেন কিং।