তিন হাজার বছর পূর্বে, আপনার-আমার মতো একজন ব্যক্তি পাহাড়ে ঘেরা একটি শহরের কাছে বসবাস করতেন। তিনি একজন মেডিসিন-ম্যান হবার জন্য দীক্ষা নিচ্ছিলেন, নিজের পূর্বপুরুষদের জ্ঞান আহরণ করতে। তবে তিনি যা শিখছিলেন, তার সাথে পুরোপুরি একমত ছিলেন না। ভেতরে ভেতরে তাঁর মনে হচ্ছিল, নিশ্চয়ই আরো কিছু রয়েছে।
একদিন, একটি গুহায় নিদ্রা যাপনকালে ব্যক্তিটি স্বপ্নে দেখলেন—তিনি নিজেই দেখছেন, তাঁর দেহখানা ঘুমোচ্ছে। নতুন চন্দ্রের সে-রাতে তিনি গুহা থেকে বেরিয়ে এলেন। আকাশ ছিল পরিষ্কার, এবং তিনি লক্ষ লক্ষ তারকারাজি দেখতে পেলেন। এরপর লোকটির ভেতরে এমন কিছু ঘটল, যা তাঁর জীবনকে চিরতরে বদলে দিল। তিনি তাঁর হাতের দিকে তাকালেন, নিজের দেহখানা অনুভব করলেন, এবং তাঁর নিজের কণ্ঠকে বলতে শুনলেন, ‘আমি আলো থেকে তৈরি; আমি তারকা থেকে তৈরি।’
তিনি পুনরায় তারকারাজির দিকে তাকালেন, অতঃপর বুঝতে পারলেন, তারকা আলো সৃষ্টি করে না, বরং আলোই সৃষ্টি করে তারকাকে। ‘সবকিছুই আলো হতে সৃষ্ট,’ তিনি বললেন, ‘আর মধ্যবর্তী জায়গাটুকুও ফাঁকা নয়।’ তিনি জানতেন, যা কিছু রয়েছে, তা একই প্রাণের অন্তর্গত। এবং সেই আলো হচ্ছে জীবনের বার্তাবাহক, কারণ এটি জ্যান্ত, আর সকল তথ্যের ধারক।