এক টুকরো পাথর তুলে নিয়ে বিস্তীর্ণ পানির প্রবাহের মাঝে ছুড়ে দিন, ফলাফল যা হবে-সেটা চোখে সহজে ধরা পড়বে না। অসংখ্য ঢেউয়ের মাঝে ছোট্ট এক টুকরো নুড়ির আঘাত। ক্ষুদ্রতর আরেকটি ঢেউয়ের সঞ্চার। হাজারো ঢেউয়ের মাঝে সেই ঢেউয়ের খেই হারিয়ে ফেলা। মিলিয়ে যাওয়া। ব্যস!
আবার সেই পাথরটাই একটা ছোট দিঘির পানিতে ছুড়ে মারলে ফলাফল হবে ভিন্ন। সে ফলাফল যে শুধু দেখার মাঝেই সীমাবদ্ধ থাকবে, তা নয়। তা হবে আরও অনেক দীর্ঘস্থায়ী। দিঘির স্বচ্ছ, স্থির, টলটলে পানিতে তা একদম শোরগোল বইয়ে দেবে। পাথরের আঘাতে সৃষ্ট একটি ঢেউ থেকে সৃষ্টি হতে থাকবে একের পর এক ঢেউ। সমস্ত দিঘির পানিকে সে তার অস্তিত্ব জানান দেওয়ার পর গিয়ে মিশবে দিঘির প্রান্তসীমায়।
যেখানে একখণ্ড পাথরের আঘাত প্রকাণ্ড হইহল্লা করে এগিয়ে চলা প্রমত্ত নদীর বুকে কোনো উল্লেখযোগ্য ঘটনাই না, সেখানে স্থির দিঘির পানিতে সেই নুড়ির আঘাতই দিঘিটিকে বদলে দেয় চিরদিনের জন্যে।
বিগত চল্লিশ বছর ধরে এলা রুবিনস্টেইনের জীবন ছিল বদ্ধ দিঘির মতো।