ফ্ল্যাপের কিছু কথাঃ পুরুষটি চায় ক্ষমতা নারীটি চায় প্রতিশোধ ... ‘প্রিয় ডায়েরি, আজ সকালে এমন একজনের সঙ্গে আমার দেখা হয়েছে যাকে বিয়ে করতে চেয়েছি আমি’
এক তরুণীর ডায়েরীর প্রথম পৃষ্টার এই উদ্ধৃতি থেকে বোঝার উপায় নেই আসলে কী ঘটতে চলেছে। লেসলি স্টুয়ার্ট অপূর্ব সুন্দরী, উচ্চাকাঙ্খী এক নির্বাহী কর্মকর্তা। সে জানে কোনও কোনও পুরুষের কাছে ক্ষমতাই সবচেয়ে কামনার বস্তু।
অলিভার রাসেল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি ছোট দক্ষিণী রাজ্যের সুদর্শন গভর্নর। নারী যে নরকের চেয়েও ভয়ংকর হতে পারে জানা ছিল না তার। দ্য বেস্ট লেইড প্ল্যানস এ কাহিনী গড়ে উঠেছে দু’জন মানুষকে নিয়ে যারা এগিয়ে যায় অনিবার্য সংঘাতের দিকে। অলিভার মার্কিন প্রেসিডেন্ট হওয়ার কৌশল অবলম্বন করে, লেসলি এমন এক চাল চালে যে অভিার ভাবতে বাধ্য হয় সে জন্ম না নিলেই বুঝি ভালো হতো। তবে দু’জনের কেউই জানেনা অতি সুনিপুণ পরিকল্পনাও বিপজ্জনকভাবে ধ্বংস হয়ে যেতে পারে- নিয়ে যেতে পারে ভয়ংকর পরিণতির দিকে।
সিডনি শেলডন
বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় থ্রিলার লেখক সিডনি শেলডন। তাঁর প্রথম বই ‘দ্য নেকেড ফেস’কে নিউইয়র্ক টাইমস অভিহিত করেছিল বছরের সেরা রহস্যোপন্যাস' বলে। শেলডন যে ১৮টি থ্রিলার রচনা করেছেন, প্রতিটি পেয়েছে ইন্টারন্যাশনাল বেস্ট সেলারের মর্যাদা। তার সবচেয়ে হিট রােমাঞ্চোপন্যাসের মধ্যে রয়েছে : দ্য আদার সাইড অভ মিডনাইট, ব্লাড লাইন, রেজ অভ এঞ্জেলস, ইফ টুমরাে কামস, দ্য ডুমসডে কন্সপিরেসি, মাস্টার অব দ্য গেম, দ্য বেস্ট লেইড প্ল্যানস, মেমােরিজ অভ মিডনাইট ইত্যাদি। এই বিখ্যাত লেখক ২০০৭ সালের জানুয়ারি মাসে মৃত্যুবরণ করেন।
অনীশ দাস অপু
জন্ম ৫ ডিসেম্বর ১৯৬৯ সাল জন্মস্থান বরিশাল, পিতা প্ৰয়াত লক্ষী কান্ত দাস। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ে অনার্স সহ এম, এ করেছেন। ১৯৯৫ সালে লেখালেখির প্রতি অনীশের ঝোক ছেলেবেলা থেকে ছাত্রাবস্থায় তিনি দেশের শীর্ষস্থানীয় সাপ্তাহিক, পাক্ষিক এবং মাসিক পত্রিকাগুলোতে চিত্তাকর্ষক ফিচার, গল্প এবং উপন্যাস অনুবাদ শুরু করেন। হরর এবং থ্রিলারের প্রতি তাঁর ঝোকটা বেশি। তবে সায়েন্স ফিকশন, ক্লাসিক এবং অ্যাডভেঞ্জার উপন্যাসও কম অনুবাদ করেননি। এ পর্যন্ত তাঁর অনুদিত গ্ৰন্থ সংখ্যা ১০০’র বেশি। অনীশ দাস অপু লেখালেখির পাশাপাশি সাংবাদিকতা পেশায় জড়িত। তিনি দৈনিক যুগান্তর- এ সিনিয়র সাব এডিটর হিসেবে কাজ করেছেন । তবে লেখালেখিই তার মূল পেশা এবং নেশা ।