কিংবদস্তী তিরন্দাজ টেটসুয়া অনেক আগেই তুলে রেখেছেন তাঁর তির-ধনুক। এখন স্রেফ একজন কাঠমিস্ত্রী হিসেবে বসবাস করছেন এক নিভৃত গ্রামে। একদিন অনেক দূর থেকে আরেক তিরন্দাজ এলো তাঁকে চ্যালেঞ্জ জানাতে। টেটসুয়া তার চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করলেন। কিন্তু টেটসুয়ার সাথে প্রতিযোগিতায় নেমে হেরে গিয়ে সেই তিরন্দাজ বুঝতে পারল তিরন্দাজির অনেক শিক্ষা অর্জনই তার বাকি রয়েছে। তখন, টেটসুয়া সেই তিরন্দাজ ও তাকে টেটসুয়ার কাছে নিয়ে আসা বালকের সামনে তুলে ধরলেন তিরন্দাজির দর্শনকে।
‘দ্য আর্চার’ বইয়ে বিশ্বনন্দিত লেখক পাওলো কোয়েলহো এমন কিছু মূলনীতি তুলে ধরলেন, যা শুধু তিরন্দাজির সঙ্গেই সম্পর্কযুক্ত নয়, বরং জড়িত জীবনের সকল দিকে সঙ্গে। এই মূলনীতি হলো অনেক নীতির সম্মিলন, যা সুগম করে অসংখ্য গুণাবলি ও দক্ষতা অর্জনকে।
আমার লেখায় আমি ধনুক, তির, লক্ষ্য ও তিরন্দাজকে তুলে ধরেছি সমৃদ্ধি ও সাহসিকতার এক অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে।
- পাওলো কোয়েলহো
পাওলো কোয়েলহো
বিশিষ্ট সাহিত্যিক পাওলাে কোয়েলহাের জন্ম ১৯৪৭ সালে, ব্রাজিলে। ছােটবেলা থেকে লেখক হবার স্বপ্ন থাকলেও, পরিবারের চাপে লেখালেখি চালিয়ে যেতে পারেননি কিশাের বয়সী কোয়েলহাে। তার প্রাথমিক জীবন কেটেছে ভবঘুরে হিসেবে; দক্ষিণ আমেরিকা, উত্তর আফ্রিকা, মেক্সিকো আর ইউরােপে। ১৯৮২ সালে প্রকাশিত হয় তার প্রথম বই ‘হেল আর্কাইভস'। তবে পাঠকমহলে খুব একটা সাড়া ফেলতে পারেনি বইটি। কিন্তু ১৯৯৪ সালে ‘দ্য আলকেমিস্ট’ প্রকাশিত হবার পর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। প্রথম ব্রাজিলিয়ান সাহিত্যকর্ম হিসেবে বেস্টসেলার তকমা অর্জন করে বইটি। এছাড়াও ব্রাইডা’, ‘বাই দ্য রিভার পিদ্ৰা আই স্যাট ডাউন অ্যান্ড ওয়েপ্ট’, ‘দ্য ফিফথ মাউন্টেন প্রভৃতি তার উলেখযােগ্য গ্রন্থ। বর্তমানে সপরিবারে ব্রাজিলে বসবাস করছেন।