গন্তব্য চট্রগ্রাম। একটি উন্নত গাড়িতে চড়ে আপনি রওনা হয়েছেন ঢাকা মিরপুর থেকে। পথিমধ্যে নানান জায়গায় স্পিড ব্রেকারের সামনে আপনার গতি রোধ করতে হচ্ছে। আপনার চট্রগ্রাম সফর সফল করতে কিছু জায়গায় স্পিড ব্রেকারের কাছে গিয়ে থামতেই হবে আপনাকে। আপনার গাড়ি যত দামিই হোক, যত দক্ষই হোক আপনার ড্রাইভার যদি আপনি না থামেন, আপনার গাড়ি চূর্ণবিচূর্ণ হবে, মারাত্মক দুর্ঘটনার শিকার হবেন আপনি।
ঠিক এমনই জ্ঞানের জগতেও কিছু স্পিড ব্রেকার রয়েছে, যেখানে আপনাকে থামতে হবে, মেনে নিতে হবে আপনার অক্ষমতা। আপনি হয়তো গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, পুঁজিতন্ত্র, ধর্ম নিরপেক্ষতাবাদ ইত্যাদি নিয়ে দুর্দান্ত অধ্যয়ন করছেন নিজের এবং মানবতার মুক্তির জন্য। কিন্তু আপনি কোনো সমাধান খুঁজে পাচ্ছেন না। তখন আল্লাহ যেন আপনাকে ডেকে ডেকে বলছেন, বান্দা! আমার পরিচয় ভালোভাবে জেনে আমার সাহায্যপ্রাপ্ত হয়ে শুরু করো ভিন্ন এক যাত্রা। সে যাত্রার শুরুতেই আপনার সাক্ষাৎ হচ্ছে আলিফ-লাম-মীমের। যেখানে থামিয়ে দিতে হচ্ছে আপনার জ্ঞানের গতিকে, স্বীকার করে নিতে হচ্ছে নিজের অজানা আর অক্ষমতাকে। তারপর আল্লাহ আপনাকে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছেন, এমন একটি কিতাবের সঙ্গে, যার মধ্যে নেই কোনো ভুলত্রুটি, কোনো সন্দেহ-সংশয়। যার সবটুকুই আপনার এবং মানবতার কল্যাণ, যার পু্রোটা জুড়েই রয়েছে উদ্ভূত সমস্ত সমস্যার সমাধান। কুরআনের আলিফ-লাম-মীম, ইয়া-সীন, হা-মীম ইত্যাদি মুকাত্তাআত হুরূফগুলো আল্লাহ তাআলার নির্ধারিত এক একটি স্পিড ব্রেকার, যা আপনার জ্ঞানের গতিকে থামিয়ে দেয়, আপনার জ্ঞানের জগৎকে করে দেয় অক্ষম। পরিচয় করিয়ে দেয় জ্ঞানের সম্পূর্ণ নতুন এক দিগন্তের সঙ্গে। যা আসমান থেকে আসা নির্ভুল এবং মহাসত্য। চলুন আল্লাহ তাআলা আমাদের অক্ষম করে দিয়ে কী জানাচ্ছেন, কোন বিষয়গুলো তুলে ধরছেন, তা জেনে নিই—‘থামুন! পথ দেখাবে কুরআন’ বই থেকে।