ওপেনিং বোলারকে এমনিতেই সবাই ভয় পায়। কিন্তু মাসুদ ভয় পায় বলে মনে হয় না। তার দ্বিতীয় বোলেই ছক্কা! পাঁচ বোলে পাঁচ ছক্কা। ফার্স্ট বোলারকেও প্যাকেট! ম্যাচ জিতে যায় রামেন্দ্র মডেল উচ্চ বিদ্যালয়। খবরটা শুনে রামেন্দ্র মডেলের প্রধান শিক্ষকের মাথা ছক্কর মেরে উঠে। ঘুরে পড়ে যান। অন্যদিকে মাঠেই সেন্স হারিয়ে ফেলেন রামেন্দ্র মডেলের স্পোর্টস টিচার। আর মাসুদকে ঘিরে শুরু হয় আনন্দ মিছিল। হেরো দলের অধিনায়ক এসে মাসুদের কাঁধে হাত রেখে বলে, ‘অ্যাই মাসুদ, তোকে এই রকেট শর্ট কে শিখালো রে?’ মাসুদ তার কথায় কান না দিয়ে বাসার পথ ধরে। বিকেলে তাকে আবার মাঠে নামতে হবে। ওল্ড বয়েজ ক্লাবের হয়ে। মাসুদের গল্প ছাড়া আরো ছয়টি গল্পে সাজানো হয়েছে বইটি। পড়া শুরু করলেই বুঝবে গল্পগুলোর ব্যাতিক্রমতাটা কোথায়!
আশিক মুস্তাফা
আশিক মুস্তাফা পড়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। পাশাপাশি সম্পাদনা করেছেন দৈনিক সমকাল পত্রিকার ছোটদের পাতা 'ঘাসফড়িং'। যুক্ত আছেন বাংলাদেশ শিশু একাডেমী থেকে প্রকাশিত শিশু বিশ্বকোষের সঙ্গেও। ২০১৭ সালে সিঙ্গাপুরে অনুষ্ঠিত এশিয়ান ফেস্টিভ্যাল অব চিলড্রেনস কনটেন্টে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেন। ২০১৫ সালে টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়ে শিশুসাহিত্যের উপর গবেষণাপত্র উপস্থাপন করেন। পেয়েছেন অগ্রণী ব্যাংক শিশু একাডেমী শিশুসাহিত্য পুরস্কার। ইউনিসেফ প্রদত্ত মিনা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড এবং কবি হাবীবুর রহমান সাহিত্য পুরস্কার। প্রথম অনুবাদ বইয়ের জন্য পেয়েছিলেন ছোটদের মেলা সেরা বই পুরস্কার।