তেহাত্তরের নির্বাচন
স্বাধীন বাংলাদেশের সংবিধান কার্যকর হয় বাহাত্তরের ১৬ ডিসেম্বর থেকে। এই সংবিধানের ভিত্তিতে দেশে প্রথম সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ১৯৭৩ সালের ৭ মার্চ। নির্বাচনে জাতীয় সংসদের ৩০০ আসনে প্রতিদ্বদ্বিতা করেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থিরা। তাদের সংখ্যা হাজারের উপর। স্বাধীন দেশের প্রথম সাধারাণ নির্বাচন নিয়ে যথেষ্ট আগ্রহ, উৎসাহ ও মাতামাতি ছিল। নির্বাচনে আওয়ামী লীগ একচেটিয়া জয় পায়। বিরোধী দলগুলো নির্বাচনে জালভোট, কারচুপি ও সন্ত্রাসের অভিযোগ তোলে। বেশ কয়েকটি আসনের ফলাফল ছিল প্রশ্নবিদ্ধ।
আওয়ামী লীগ ছিল ওই সময়ের সবচেয়ে সংগঠিত রাজনৈতিক দল। নির্বাচনে তাদেরই জয়ের সম্ভাবনা ছিল। কিন্তু ফলাফলে দেখা যায়, বিরোধী দলের মাত্র দুজন এবং নির্দল পাঁচজন প্রার্থী, সাকল্যে এই সাতজন আওয়ামী বলয়ের বাইরে থেকে নির্বাচিত হতে পেরেছিলেন। বিষয়টি ছিল দৃষ্টিকটু। দেশের পত্র-ত্রিকায় এই নির্বাচনের নানান খবর বিস্তারিতভাবে ছাপা হয়েছে। পত্রিকাগুলো বেশিরভাগই ছিল সরকারের কিংবা সরকার সমর্থক ব্যাক্তিদের মালাকানায়। অন্যতম ব্যাতিক্রম ছিল দৈনিক 'গণকণ্ঠ'। গণকণ্ঠ' পত্রিকায় প্রকাশিত নির্বাচন সংক্রান্ত খবর ও মন্তব্যগুলো নিয়ে এই বইটি সাজানো হয়েছে। এ বই আমাদের নিয়ে যাবে পাঁচ দশক আগের সময়টিতে।
মহিউদ্দিন আহমদ
মহিউদ্দিন আহমদ জন্ম ১৯৫২, ঢাকায়। পড়াশােনা গবর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি হাই স্কুল, ঢাকা কলেজ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগে। ১৯৭০ সালের ডাকসু নির্বাচনে মুহসীন হল ছাত্র সংসদের সহসাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। বিএলএফের সদস্য হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। দৈনিক গণকণ্ঠএ কাজ করেছেন প্রতিবেদক ও সহকারী সম্পাদক হিসেবে। দক্ষিণ কোরিয়ার সুংকোংহে বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার্স ইন এনজিও স্টাডিজ কোর্সের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ও অধ্যাপক। তার লেখা ও সম্পাদনায় দেশ ও বিদেশ থেকে বেরিয়েছে বাংলা ও ইংরেজিতে লেখা।