বিকেলে ফুটবল খেলা শেষে রাতুল যখন বাড়িতে ফিরল, তখন আকাশ থেকে সন্ধ্যার আবছা আলো চারদিকে ছড়িয়ে পড়েছে। গেট পেরিয়ে বাড়ির ভেতরে ঢুকতেই পশ্চিম আকাশের সোনালি উজ্জ্বল রং শেষবারের মতো তার চোখে যেন শান্তির পরশ বুলিয়ে দিল। রাতুল উৎফুল্ল মনে ওয়াশরুমে ঢুকে শীতল পানির ধারায় নিজের শরীরটাকে ঠান্ডা করে নতুন পোশাক পরে সতেজ মনে বেরিয়ে এলো। এবার ফুল স্পীডে ফ্যানটা ছেড়ে খাটের ওপর গা এলিয়ে দিতেই বেশ আরাম বোধ করল। এভাবে কিছুক্ষণ থাকলেই হয়তো ঘুমিয়ে যেতে ইচ্ছে করবে। কিন্তু এখন চোখে ঘুম আসতে দেওয়া যাবে না। তাকে এক গুরুদায়িত্ব পালনের জন্য এখনি ছুটতে হবে। তাই আলসেমি না করে ঝটপট বিছানা থেকে উঠে পড়ল।
এবার দ্রুততার সাথে প্যান্ট শার্ট পরে তৈরি হতেই তার মা চা নাশতা নিয়ে হাজির হলেন। সেগুলো টেবিলে রেখেই আশ্চর্যের সাথে বললেন, এখন আবার কোথায় বের হচ্ছো! এই তো পাশেই।
বেশি রাত করবে না। তাড়াতাড়ি ফিরবে। আমি কি এখনও ছোট্ট শিশুটিই আছি, মা! এত চিন্তা করো নাতো!
এক-দেড় ঘণ্টার মধ্যেই ফিরে আসব।জানিতো সন্ধ্যা রাতে ঘুরে বেড়াবে আর গভীর রাতে জেগে জেগে পড়বে। রাত বেশি না হলে যে আমার পড়ায় মন বসে না। বেশ, এগুলো এখন খেয়ে নাও।
রাতুল তার মায়ের হাতের তৈরি ফিরনি গোগ্রাসে শেষ করে চায়ের কাপে কয়েক চুমুক দিয়ে রুবিদের বাড়ির উদ্দেশে বেরিয়ে পড়ল। রুবিদের বাড়ি রাতুলদের বাড়ি থেকে পায়ে হেঁটে গেলে সর্বোচ্চ সাত মিনিটের পথ। নির্দিষ্ট সময়েই সে রুবিদের বাসার সামনে পৌঁছাল।