বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়ি দুপুর বেলা । স্টেশনের প্লাটফর্মের উপর রােদ লাফাচ্ছিল তখন। ওয়েটিংরুমে গাদাগাদি করে পেসেঞ্জার বসা। একটা মেয়ে বাচ্চা গলা ফাটিয়ে কাঁদছে। কেঁদে কেঁদে বলছে, নানুর কাছে যাব। মেয়েটার মা কান্না থামাতে না পেরে গাল টিপে ধরে মুখ চুষনি বানিয়ে ফেলল। কিন্তু মেয়েটার কান্না থামল না। লােকজন বিরক্ত হচ্ছে। বনপােড়া বাতাসে গা জ্বলে যাচ্ছিল। আমি আর তনু ওয়েটিংরুমের বাইরে দাঁড়িয়ে রইলাম। দুজনেই গাড়ি ধরে ঢাকা যাব। তনু যাবে তার মেজো চাচার বাসায়। আমার গন্তব্য জানা নেই। খেতের টমেটো আর লাউ নিয়েছে সে ব্যাগে। সাইডব্যাগে কিছু কাপড়চোপড় আমার হাত শূন্য। গায়ে একটা টি শার্ট আর পরনে আধ-ময়লা জিন্সের প্যান্ট, বাসায় মা বকেছে তাই বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছি। এর আগেও বার তিনেক উদ্যোগ নিয়েছিলাম। সুবিধা করতে পারিনি। এবার তনুটার জন্যই সিদ্ধান্তটা নিতে পারলাম। তার পকেটে টাকা আছে