ফ্ল্যাপের কিছু কথাঃ দূরের নক্ষত্র পুঞ্জের একটি গ্রহ টারস। টারস গ্রহে বড় কোন প্রাণী নেই। টারসের বিশাল মহাসাগরে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র শৈবালের বাস। পৃথিবীর দুই বিজ্ঞানী আবিস্কার করেছেন এদের। এই শৈবালদেরই পৃথিবীর জন্য হুমকি মনে করতে লাগলো বিশ্ব ব্যবস্থা। মৈবালদের নিশ্চিহ্ন করতে হামলা চালানো হলো টারসে। পৃথিবীর শাসকদের বিস্মিত করে দিয়ে পাল্টা হামলা চালালো টারসের শৈবালেরা। টারসের অভিযানে অংশ নেয়া নভোযানে শুধু না, বহু আলোকবর্ষ দূরে পৃথিবীতেও।
ভূমিকা ‘টারস’ নামের এই সায়েন্স ফিকশনটির পরিকল্পনা করেছিলাম বহু আগে। যখন আমি অনার্স প্রথম বর্ষে পড়ি। কিন্তু লেখা হয় নি। আমি উদ্ভিদবিদ্যার ছাত্র ছিলাম। একদিন মুন্সিগঞ্জের এক ডোবা থেকে শৈবাল সংগ্রহ করতে করতে হঠাৎ করে এ গল্পটি মাথায় এলো। পকেটের নোট বুকে টুকে নিলাম। রাতে বাসায় এসে লিখে রাখলাম আমার ডাইরিতে। তারপর অনেক বছর আর এর খোঁজখবর নেই নি। আমার এরকম অভ্যাস আছে। ‘সুজের মৃত্যু ও তারপর’ নামের একটা সায়েন্স ফিকশন লেখা শুরু করেছিলাম ১৯৯৮ সালে। এখনও শেষ করি নি। ‘কোষ’ নামের আরেকটি সায়েন্সফিকশনও পড়ে আছে দুই বছর ধরে। প্রতিবারই ‘কোষ’ গল্পটা নিয়ে বসলে মনে হয় আরো একটু পড়াশোনা করে তারপর এটা লেখা উচিৎ। এই করতে করতে লেকা হয়না। ‘টারস’ এর শুরুতে নাম ছিলো ‘শৈবাল’। প্রকাশকের নামটি পছন্দ না হওয়ায় নামটি পরিবর্তন করেছি। দেখা যাক পাঠকের এটি লাগে কিনা।