রেডিও চালালেই শোনা যাচ্ছে নাৎসি পার্টি আর ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর খবর। কোথায় সেই আট হাজার কিলোমিটার দূরে কামান দাগিয়ে যুদ্ধ করছে শ্বেতাঙ্গরা, কিন্তু তার জন্য বিপর্যস্ত হচ্ছে কলকাতার জনজীবন। একদিকে যুদ্ধ, অন্যদিকে দুর্ভিক্ষ, মৃত্যুই এখানে একমাত্র রিয়েলিটি। তখন কেইবা জানত, এই ঝিমিয়েপড়া কলোনিয়াল কলকাতায় ধর্মতলার পাশে মট লেনেই রয়েছেন এমন একজন, যার ঝুলিতে রয়েছে বাংলা সাহিত্যের অসাধারণ কিছু অতিপ্রাকৃত গল্পের ভান্ডার। গলির মধ্যে ছোটো একটা একতলা বাড়িতে থাকেন তিনি। লেখক তার বর্ণনা দিয়েছেন অনেকটা এভাবে- বয়স ষাট-বাষট্টির বেশি নয়, রং টকটকে গৌরবর্ণ, মাথার চুল প্রায় সব উঠে গিয়েছে। লর্ড রেডিঙের চেহারার সঙ্গে এনার আশ্চর্য মিল, তবে পার্থক্য হলো লর্ড রেডিঙের চেহারায় আত্মপ্রত্যয়ের ভাব অনেকটা বেশি। লেখকের ভাষ্যমতে উনি গিয়েছিলেন এই ব্যক্তির ক্ষমতার প্রয়োগ দেখতে। কারণ, পেশায় লোকটি ছিলেন একজন জ্যোতিষী। লোকটির অদ্ভুত ক্ষমতা দেখে লেখক কতটা মুগ্ধ হয়েছিলেন তা চিহ্নিত করা মুশকিল, তবে এই বিশেষ ব্যক্তির গল্প বলার ঢং যেমন আশ্চর্য, তেমনি গল্পের বিষয়ও ছিল ভেতো বাঙালির সাধারণ জীবনের বাইরে।
সঞ্চারী ভট্টাচার্য্য
সঞ্চারী ভট্টাচার্য। জন্ম ৩রা জানুয়ারি, ১৯৯০ সালে। ছোটোবেলা থেকেই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসেন। ইতিহাস বিষয়টি নিয়ে রবীন্দ্রভারতী ইউনিভার্সিটি থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নেওয়ার পর লেখালেখির বিষয়টির প্রতি আরও আগ্রহী হয়ে ওঠেন। নিজস্ব ফেসবুক গ্রæপে লেখালেখি করে জনপ্রিয়তা অর্জনের পর সাহিত্যের এক নতুন দিক আবিষ্কার করেন তিনি। ভৌতিক গল্পের ক্ষেত্রে ধীরে ধীরে জনপ্রিয়তা অর্জনের পরে ভ‚ততত্ত¡ ম্যাগাজিনে প্রথম লেখার সুযোগ পান। এরপর নিজস্ব ভৌতিক উপন্যাসটি প্রকাশিত হয় ২০২০ সালের কলকাতা বইমেলায় ‘মেহেরুন্নিসা’। খোয়াই পাবলিসিং হাউজ থেকে এই সমাদরটি অর্জনের পর থেমে থাকেননি তিনি। সাঁঝবাতি, সূচনা, শিল্পনীড় সাংস্কৃতিক পত্রিকা, প্রগতি পত্রিকা, বৃত্তের বাইরে, হিয়ার কথা, বইবাড়ি, চন্দ্রপ্রভা, কান্ডারি, রোদের ডানা, বুক রিডার্স পাবলিকেশন, স্টোরি মিরর প্রভৃতি জনপ্রিয় পত্রপত্রিকাতেও লেখালেখি করেছেন এবং বর্তমানেও করে চলেছেন নিয়মিতভাবে। অনুরাগীদের ভালোবাসা এবং সমর্থনকেই পাথেয় করে চলতে চান তিনি। প্রতিলিপি অ্যাপেও তিনি একজন টপরেটেড লেখিকা। প্রতিলিপিতে তার পাঠকসংখ্যা প্রায় সাড়ে চার লাখ।