তন্দ্রাবিলাস
বইঃ তন্দ্রাবিলাস লেখকঃ হুমায়ূন আহমেদ প্রকাশনীঃ অন্বেষা প্রকাশন মুদ্রিত মূল্যঃ ১৬০ টাকা পৃষ্টা সংখ্যাঃ ৯৬ দুটি কারণে মিসির আলির মেজাজ খারাপ হয়ে আছে। প্রথম কারণ, নীল রঙের একটা মাছি। মাছিটা বারবার মিসির আলির গায়ে বসার চেষ্টা করে যাচ্ছে। আর দ্বিতীয় কারণ হলো এক মেয়ে। মেয়েটি অপরিচিত- মিসির আলির সাথে দেখা করতে এসেছে। সঙ্গে করে নিয়ে এসেছে স্যুটকেস আর হ্যান্ডব্যাগ। মেয়েটি পরিচিয় পর্বে নিজেকে সায়রা বানু বলে পরিচয় দিয়েছে। আর নানা ধরণের উদ্ভট আলাপচারিতা চালিয়ে যাচ্ছে। যেমন, মেয়েটি বললো সে মিসির আলির বাসায় কিছুদিন থাকবে! আবার তার বন্ধুরা তাকে কী নামে ডাকে এসব হাবিজাবি গল্প করতে লাগলো। কেন তার বন্ধুরা তাকে এস বি, স্পেশাল ব্রাঞ্চ, সাদা বাঘিনী বলে ডাকে সেই গল্প বললো। মিসির আলি যখন বিরক্ত হয়ে তাকে চলে যেতে বলে তখন সে অন্য কারো কাছে আশ্রয় চাইতে যাওয়ার নাম করে বেরিয়ে গেলো। স্যুটকেস, হ্যান্ডব্যাগ রেখে গিয়ে আর ফিরে আসলো না। কিছুদিন যাওয়ার পর মিসির আলি মেয়েটির ঠিকানা জানার জন্য ব্যাগ চেক করতে গিয়ে একটি মোটা খাতা আবিষ্কার করেন। আর সেই খাতার বদৌলতে তিনি আরো আবিষ্কার করেন চিত্রা/ফারজানা/নিশি নামের ২৩ বছর বয়সের একজন মেয়েকে। যে স্কিজোফ্রেনিয়ায় আক্রান্ত। আসলে সেদিন ফারজানা এতসব কাহিনী সাজিয়েছিল মূলত মিসির আলিকে তার খাতাটা পৌঁছে দেয়ার জন্য। যেটা লিখতে তার সময় লেগেছে দুই বছর। যেখানে সে তার জীবনের সমস্যার বিস্তারিত বর্ণনা দিয়ে সেসবের সমাধানে মিসির আলির সাহায্য চেয়েছে। মিসির আলি তার লিখা পড়ে কিভাবে রহস্যটা উদঘাটন করেছেন সেই গল্প জানার জন্য পাঠককে উঁকি দিতে হবে "তন্দ্রাবিলাসের" জগতে। #বইবাজার_রিভিউ_প্রতিযোগিতা_মার্চ_২০১৯