মোট বারোটি গল্প নিয়ে প্রীতি'র "তালা ভাঙার পালা" মূলত যেদিকে অগ্রসর হইছে, সেটা তালা ভাঙারও অনেক আগের ঘটনাবলী। মানে সমসাময়িক ইস্যুর যে একটা ইফেক্ট আমাদের সবার মনে বা ভাবনায় যেমন পড়ে তো একজন লেখকের লেখাতেও সেই ভাবনাগুলারই স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায়। তো প্রীতির গল্পগুলা আপনার আমার জানাশোনা ঘটনাবলী নিয়াই।
জান্নাতুন নাঈম প্রীতি
ছােটদের ও বড়দের জন্য ছােটগল্প, প্রবন্ধ ও কবিতা লেখেন। পাশাপাশি চিত্রাঙ্কন, বিতর্ক ও সঙ্গীতে বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী। মাত্র সাত বছর বয়সেই ক্লাস টুতে থাকাকালীন অবস্থায় তিনি সারা দেশের মধ্যে 'Anchor-প্রথম আলাে গল্প লেখা প্রতিযােগিতায় সেরা গল্পকারের খেতাব লাভ করেন। তার উল্লেখযােগ্য পুরস্কারগুলাের মধ্যে ২০১৪ সালে ইউনিসেফ মীনা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড’-এর সৃজনশীল লেখা শাখার প্রথম পুরস্কার, 'Anchor' প্রথম আলাে গল্প লেখা প্রতিযােগিতায় সেরাদের সেরার খেতাব; ২০০৫, ২০০৬, ২০০৮, ২০১০, ২০১১-তে ঐতিহ্য আয়ােজিত জাতীয় গল্প লেখা প্রতিযােগিতায় পাঁচবারের অন্যতম সেরা গল্পকারের সম্মাননা, ব্রিটিশ কাউন্সিল আয়ােজিত রচনা প্রতিযােগিতা ও আন্তর্জাতিক শিশু চলচ্চিত্র উৎসব আয়ােজিত রচনা প্রতিযােগিতায় পুরস্কার লাভসহ চিত্রকলা, আবৃত্তি, বিতর্ক ও সঙ্গীতে তিনি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অসংখ্য পুরস্কার পেয়েছেন। পড়াশােনায় কৃতিত্বের জন্য পেয়েছেন বাংলাদেশ সরকারের সম্মাননা ‘এসাে বাংলাদেশ গড়ি’-এর জাতীয় পর্যায়ে কৃতী শিক্ষার্থী অ্যাওয়ার্ড, বিভাগীয় পর্যায়ে মেয়র পদকসহ বেশ কিছু পুরস্কার। বেশ কিছু চলচ্চিত্র ও প্রামাণ্যচিত্রেও তার ভূমিকা রয়েছে। এর মধ্যে ২০১৪ সালে দিল্লির দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার জেতা পােস্টার’ ছবিটি উল্লেখযােগ্য। বিভিন্ন পত্রপত্রিকা ও লিটলম্যাগসহ দেশে ও দেশের বাইরে বেশ কিছু সঙ্কলনে তার লেখা বেরিয়েছে, তার প্রথম গ্রন্থ শিশুদের জন্য লেখা মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপন্যাস‘বাংলাদেশ নামটি যেভাবে হল’ (একুশে বইমেলা ২০১৪)। তরুণ এই লেখক স্বপ্ন দেখেন দেশকে পৃথিবীর দরবারে অনন্য সম্মানের আসনে অধিষ্ঠিত করার।