ভালোবাসার বন্ধন মানব- জীবনের অমূল্য এক সম্পদ , পবিত্র এক সম্বল । ভালোবাসার কল্যাণেই সমাজ- জীবনের চাকা সচল আছে ।
সন্তানের প্রতি মা- বাবার ভালোবাসা , ভাইবোন ও আত্মীয় - স্বজন পরস্পরের প্রতি আন্তরিকতা , সর্বোপরি মানুষের জন্য মানুষের ভালোবাসা , জীবনের প্রতি জীবনের অন্তরঙ্গতা মুহূর্তের জন্য যদি হারিয়ে যেত— কল্পনা করুন— সুতো ছেঁড়া তাসবীর দানার মত আমাদের সমাজ- জীবন কেমন ছত্রখান হয়ে যেত।
ভালোবাসার বন্ধন আসলে আমাদের অস্তিত্বের বন্ধন । এ বন্ধন যদি শিথিল হয় আমাদের জীবন গতি হারাবে । আল্লাহ না করুন কখনো যদি এ বন্ধন থেকে আমরা মুক্ত হয়ে যাই তাহলে আমাদের দুর্গতির কোন সীমা থাকবে না ; বরং মানবসমাজের বিলুপ্তি ঘটতে সময় লাগবে না।
সুতরাং আমরা যদি ভালোবাসার বন্ধনকে অটুট রাখতে চাই , দৃঢ় থেকে সুদৃঢ় করতে চাই তাহলে নিজের দোষগুলোকে খুঁজে খুঁজে বের করতে হবে । তারপর আত্মসংশোধনের চেষ্টায় মনোনিবেশ করতে হবে । পক্ষান্তরে অপর ভাইয়ের ভুলগুলো এড়িয়ে , শুধু ভালোগুলো দেখতে হবে।
বড়দেরকে সমালোচনার উর্ধ্বে রেখে অন্যদেরকে সুধারণার আওতায় আনতে হবে । অন্যের প্রতিটি আচরণ - উচ্চারণকে ইতিবাচক দৃষ্টিতে দেখার চেষ্টা করতে হবে । আর দশজনের দশটি গুণ নিজের মধ্যে ধারণ করতে হবে । এ মহান লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যেই নিবেদিত “ তাই... তোমাকে ভালোবাসি । ”
দশজনের দশটি গুণ এখানে সন্নিবেশিত হয়েছে , এ আশা ও প্রত্যাশায় যে , তুমি সব গুণের আধার হবে । তুমি ভালো হবে ।
আলো ছড়াবে । মানববাগানে ফুল হয়ে ফোটবে । সুবাস ও সৌরভে বিশ্বকে বিমোহিত করবে । —আমিন ।