এই পুস্তক সংকলনে যেসব ইতিহাসগ্রন্থের সাহায্য নেওয়া হইয়াছে সেইগুলির নাম হইল তারিখ-ই-ইয়েমেনী, তারিখ-ই-জয়নুল আকবার, রৌযাত-উস-সাফা, তাজ-উল-মাসির, তবকাত-ই-নাসিরি, খাযাইন-উল-ফতুহ, তুঘলকনামা, তারিখ-ই-ফিরােয শাহী : লেখক যিয়া বরণী, ফতুহাত-ই-ফিরােযশাহী, তারিখ-ই-মুবারক শাহী, তারিখ-ই-ফতুহ-ই-সলাতিন, মাসির-মুহম্মদ-শাহী-গুজরাটি, তারিখ-ই-মাহমুদ শাহী মান্দভী; তারিখ-ই-মাহমদ শাহী খর্দ মান্দভী, তবকাত-ই-মাহমুদ শাহী গুজরাটি, তারিক-ই-বাহাদুর শাহী, তারিখ-ই-বাহমনী, তারিখ-ই-নাসিরী, তারিখ-ই-মুজাফফর শাহী, তারিখ-ই-মির্যা হায়দার কাশ্মিরী, তারিখ-ই-কাশ্মির, তারিখ-ই-সিন্দ, তারিখ-ই-বাবরী, ওয়াকায়াত-ই-বাবরী, তারিখ-ই-ইব্রাহিম শাহী, ওয়াকায়াত মুশতাকী, জান্নাতবাসী মহান সম্রাট হুমায়ুন বাদশাহের ওয়াকায়াত—আল্লাহ তাহার কবর সমুজ্জ্বল করেন।
যেহেতু এই সংকলনটিতে হিন্দুস্তানের সকল রাজার সম্বন্ধেই অধ্যায় দেওয়া আছে, আর আল্লাহর। প্রতিনিধি মহান সম্রাটের সম্বন্ধীয় মহান অংশটি অন্যান্য অংশের শেষে আছে, ইহার নাম দেওয়া। হইয়াছে তবকাত-ই-আকবর শাহী, আর ইহা এক চমৎকার যােগাযােগ যে নিযামী শব্দটাতে সংকলনকারীর নামের অংশ আছে আর ইহাতে সংকলনের তারিখটি নিহিত আছে। আশা করা যায় যে, বিস্ময়কর ঘটনাসমূহের এই ইতিহাস বুদ্ধিমানগণকে তথ্য যােগাইবে।। এই পুস্তকে নয়টি অংশ আর একটি সমাপ্তি। ভূমিকার অংশটিতে আ. হি. ৩৬৭ সনে সবুক্তগীনের রাজত্বের শুরু হইতে আ. হি. ৫৮২ সন পর্যন্ত একশত পনের বৎসরের ঘটনায় পনের জন রাজার ইতিহাস। নয়টি অংশ—(১) দিল্লী। সম্বন্ধে একটি অংশ, ইহা আরম্ভ হইবে সুলতান মুইযুদ্দীন ঘােরির রাজত্বকাল হইতে, যিনি সর্বপ্রথম দিলী অধিকার করিয়া তথায় শাসনকর্তা নিযুক্ত ।