তথ্য-প্রযুক্তির অবাধ বিস্তারের এ যুগে পৃথিবীকে আমরা বলি ‘গ্লোবাল ভিলেজ’। ঠিক যেন একই গাঁওয়ের এ-পাড়া, ও-পাড়া। কিন্তু এই তথ্য-প্রযুক্তির অবাধ বিস্তার সবক্ষেত্রে যে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করছে না, তা বলাই বাহুল্য। তথ্য-প্রযুক্তি কিংবা মিডিয়া আমাদের নানান সংবাদ সরবরাহ করে। বিভ্রান্তও তো কম করে না। মিডিয়ার লাল-নীল দুনিয়ায় আমরা অনেক সময় ডাহা মিথ্যাকেও সত্য ঠাওরাই। আজগুবি সম্ভাবনাতেও পুলকিত হই পরম আরাধ্য ভেবে। মিডিয়া মানেই পুঁজি। পুঁজি মানেই ঝা চকচকে ইহূদিকেন্দ্রিক পশ্চিমা দুনিয়া। সেই পশ্চিমা দুনিয়া মিডিয়া দিয়ে আমাদের যা গেলাচ্ছে, আমরা গিলছি, গোগ্রাসে। উগরে ফেলছি সামান্যই। আফগানিস্তান, ফিলিস্তিন ও অন্যান্য মুসলিম রাষ্ট্রের মতো সিরিয়ার ক্ষেত্রেও আমরা বানোয়াট-বিকৃত তথ্যের শিকার হচ্ছি প্রতিনিয়ত। সিরিয়ায় চলছে অস্ত্র সন্ত্রাস, আমাদের এখানে তথ্য সন্ত্রাস।
সিরিয়ায় প্রকৃতপক্ষে কী ঘটছে? সেখানকার সার্বিক বাস্তবতা কী? বিশ্ব মোড়লদের কে কার পক্ষে অবস্থান নিয়েছে? আইএসের সূচনা হলো কীভাবে? সিরিয়া যুদ্ধের ভবিষ্যৎইবা কী? সিরিয়ায় কারা লড়ছে ন্যায়, ইনসাফ ও উম্মাহর হিতাকাক্সক্ষা নিয়ে? ইত্যাকার অসংখ্য প্রশ্নের উত্তর খোঁজা হয়েছে ‘সিরিয়া মহাযুদ্ধের কাল’ বইয়ে, নির্মোহ ও স্বচ্ছদৃষ্টিতে। এই বই তার পাঠককে এক নতুন দুনিয়ায় নিয়ে যাবে যে দুনিয়া শিহরণ জাগানিয়া, অচিন্তনিয় ও বাস্তবসম্মত। এই বই বিশ্বরাজনীতি, মধ্যপ্রাচ্য ও মুসলিমবিশ্ব নিয়ে আমাদের উদাস চিন্তা-ভাবনাকে পাল্টে দেবে। অনেকটা ঘুমন্ত ব্যক্তিকে কষে চড় দিয়ে জাগিয়ে তোলার মতো। এই বই তার পাঠককে এমন সব সত্যের মুখোমুখী করবে যা থেকে পালাবার জো নেই। এ বই আপাত পক্ষপাতহীন, সত্যাশ্রয়ী এবং একই সঙ্গে মানবিকও।