ফ্ল্যাপের কিছু কথাঃ চাঁদের আলোয় ধীরে ধীরে হলুদ হচ্ছে সদর ঘাটের মাথার উপর রাজার বিশাল হোর্ডিং। আর নবী বক্ষে এ নারী নবজাতকের জন্য আবুল। বিচিত্র এই বৈপরীত্য। সন্তানের জন্য কেউ ছুটছে আমেরিকায়, আর আমেরিয়া থেকে কনডম আসছে বাংলাদেশে। এরই নাম কি বিজ্ঞান? না, এর নাম বিপনন। রথে চড়ে আসেন মাধুরী দিক্ষিত, জুলিয়া রবার্টস, দ্বৈরথে যায় গার্মেন্টস বালিকারা।
এভাবেই নৌকা ভাটিতে ঘুরে যায়। আমি মুক্তির চোখের দিকে তাকাতে পারছি না। সে খুব বিচক্ষণ পাঠক। তাকিয়েই সরে বসবে। তার চেয়ে থাক না এই উষ্ণ সান্নিধ্য আরও কিছুক্ষণ। এই যে উরুতে উরু লেগে থাক, এই যে বুকের কোমল ছোঁয়া, এই যে নিঃশ্বাসের গন্ধ, এই যে চুলের পাগল ওড়াউড়ি, এই স্বপ্ন থেকে আমি জেগে উঠতে চাই না। জ্যোৎস্নার এই নদীতে আমি ডুবে যেতে চাই । ভেসে যেতে চাই । মরে যেতে চাই । বুড়িগঙ্গা করে তুলি জীবন-নদী।
বুলবুল সরওয়ার
জন্ম গোপালগঞ্জে। ১৯৬২’র ২৭শে নভেম্বর। ৯ ভাইবোনের মধ্যে কনিষ্ঠ। মিশনারি স্কুলের প্রভাবে অসাম্প্রদায়িকতা ও ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধা তার মজ্জাগত। পরিবারেও ছিল শিল্প-সাহিত্যের আবহ। বিশেষত বাবার প্রভাব এবং বড় তিন ভাইয়ের উৎসাহ তাকে শেষপর্যন্ত সাহিত্যেই থিতু করে দিয়েছে। লেখালেখি শুরু শৈশবে। আজাদ-ইত্তেফাক থেকে শুরু করে দেশের অধিকাংশ দৈনিক ও সাময়িকীতে লিখেছেন। কলকাতা-আসামেও সমান জনপ্রিয়। ১৯৮৯তেই ভারত থেকে প্রকাশিত গল্পগ্রন্থ ‘হিটলারের লাশ’ ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়। এ পর্যন্ত প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা ২৬। লিখেছেন কবিতা, গল্প, শিশুসাহিত্য, পত্রকথা। অনুবাদও কম নয়; ১৫টি বিশ্বসেরা উপন্যাস। ভ্রমণে তার বিশেষ মুনশিয়ানা। জনস্বাস্থ্যের অধ্যাপক বুলবুলের প্রিয় বিষয় চিঠি, আড্ডা, কফি এবং নজরুল। স্ত্রী দিলরুবা মনোয়ার, কন্যা আয়েশা তাজিন মাশরুবা ও পুত্র আয়হান নাভিদ নওরোজকে নিয়ে বাস করেন ঢাকার শ্যামলীতে।