একটা বিষন্ন সুন্দর মুখ। শ্রাবণ ধারায় ভিজে যাওয়া মাটির মতো। হৃদয় কাঁপানো দুটো নিষ্পাপ ঠোঁট, ঠোঁটের কোণে এক টুকরো মন খারাপ লেগে আছে। কি ভীষণ নিষ্পাপ এক চাহনি! সিক্ত চা পাতার মতো দুটো সতেজ চোখ। যেন দুচোখে সমুদ্র নিয়ে ঘুরে বেড়ায়। শান্ত অথচ বিশাল, বিষন্ন অথচ সুন্দর!
রমণীয় চোখ দুটিতে কোনো ভাষা নেই। পাপড়ি তুলে যখন শান্ত দৃষ্টিতে তাকায়, বুকের ঠিক মধ্যিখানে উচ্চতাজনিত ভয়ের মতো বুকটা শূন্য হয়ে যায়। হাহাকার করে, কি যেন নাই নাই একটা অভাব চেপে বসে গলার ভেতর। অথচ আমার তো কোনোকিছুই হারানোর ছিলো না। রমণীর কণ্ঠস্বর ওরা কেউ কখনো শোনেনি। লোকজন বলাবলি করে মেয়েটা নাকি কথা বলতে পারে না। অথচ সেদিন রাতে আমাকে দারুণভাবে চমকে দিয়ে সে জিজ্ঞেস করেছিলো, 'ডাক্তার সাহেব, কি খেলে দুঃখ কমে? আমি উত্তর দিতে পারিনি। শুধু ট্রেনের জানালায় রাখা মেয়েটির উদাস মুখের দিকে তাকিয়ে দেখেছিলাম, চোখে মেঘ জমেছে। জল রঙে আঁকা পানির মতো নরম মেঘ!
মিশু মনি
মিশু মনি। প্রখর আত্মমর্যাদা সম্পন্ন মেয়েটি দূরন্তপনা ও উচ্ছলতার আরেক নাম। কথা শিল্পের মাধ্যমে অন্যকে একটি কল্পনার জগতে প্রবেশ করানোর মত গুনাবলি থেকেই লিখালিখিটা নেশা হয়ে যায় তার। ১৩ ডিসেম্বর ১৯৯৯ সালে জন্ম নেয়া এই মেয়েটি কৈশোরেই তার ব্যক্তিত্বের মাধুর্য দ্বারা অন্যকে আকৃষ্ট করতে থাকে৷ বাবার নাম মোঃ দুলাল ও মাতা মতিজান বেগম। রংপুরের ছায়াঘেরা গ্রাম "দেবী চৌধুরানী" তে জন্ম গ্রহণ করে শৈশব ও কৈশোর সেখানেই অতিবাহিত করেন। ২০১৬ সালে "চৌধুরানী উচ্চ বিদ্যালয়" থেকে মাধ্যমিক এবং ২০১৮ সালে "খাদিজা আবেদীন চৌধুরানী কলেজ" থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেন। মানবসেবা করার প্রবল ইচ্ছা তার রক্তে আন্দোলন তোলে৷ এ লক্ষ্যে ফ্লোরেন্স নাইটিংগেলের আদর্শকে বুকে ধারণ করে বর্তমানে তিনি "কক্সবাজার নার্সিং ইন্সটিটিউট" এ শিক্ষাগ্রহণ করছেন। সদ্য তারুণ্যে পা রাখা স্বনির্ভর এই নারী স্বপ্ন দেখেন সকল অসহায় নারীদের পাশে থেকে তাদের স্বপ্ন পূরণের পথে এগিয়ে দেয়ার৷ যার জীবনের মূলধারা হচ্ছে, সংগ্রাম, দেশপ্রেম, পরোপকারিতা ও ভালোবাসা দিয়ে অন্যের মুখে হাসি ফোটানো৷