এই বইটি বাংলাদেশ এবং এর মানুষ সম্পর্কে একটি ব্যক্তিগত এবং অন্তর-অনুসন্ধানী বিবরণী। এই বইয়ে জেমস জে. নোভাক দেশটির অর্থনীতি, জনগণের জীবনধারায় ও মনস্তত্ত্বে ঋতু বৈচিত্র্যের গুরুত্ব, ইতিহাস, ভৌগলিক বৈশিষ্ট্য, সঙ্গীত, শিল্পকলা, কাব্য, চিন্তাধারা এবং রাজনৈতিক জীবন সম্পর্কে তাঁর উপলব্ধি বিবৃত করেছেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম সম্পর্কে একটি অপূর্ব বিশ্লেষণও তিনি উপস্থাপন করেছেন। দেশটির আধুনিক ইতিহাসে জাতীয়তাবাদের উন্মেষ ও বিকাশ সম্পর্কে এখন পর্যন্ত এটিই বোধ করি একমাত্র পূর্ণাঙ্গ বিশ্লেষণ। কবিতা, গদ্য এবং গানে বিধৃত এই জাতীয়তাবাদ। একে যেমন ব্যবহার করা হয়েছে ধর্ম, সাংস্কৃতিক অভিব্যক্তি, কবিতা এবং শিল্পকলার মধ্যকার ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়াকে চিত্রায়িত করার জন্যে, তেমনি ব্যবহার করা হয়েছে সংস্কৃতির রাজনৈতিক চিন্তার রূপান্তরকে মূর্ত করে তোলার জন্যে।
আবদুল হাই শিকদার
আবদুল হাই শিকদার। জন্ম ১লা জানুয়ারি ১৯৫৭। দুধকুমার নদীতীরে, কুড়িগ্রাম জেলার ভূরুঙ্গামারীর দক্ষিণ ছাট গোপালপুর গ্রামে। পিতা কৃষিবিদ ওয়াজেদ আলী শিকদার। জননী হালিমা খাতুন। মওলানা ভাসানীর দীর্ঘ ছায়ায় আশৈশব বেড়ে ওঠা। প্রাতিষ্ঠানিক পড়ালেখার বেশির ভাগ কেটেছে রংপুরের কারমাইকেল কলেজে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নিয়েছেন স্নাতক সম্মান, ঢাকা থেকে স্নাতকোত্তর। তার পুরো পরিবার অংশ নিয়েছিল মুক্তিযুদ্ধে। প্রিয় কবি মনসুর বয়াতী, লালন ফকির, চণ্ডীদাস, কাজী নজরুল ইসলাম, জীবনানন্দ দাশ, ফররুখ আহমদ। স্বপ্ন ছিল চে গুয়েভারা হওয়ার। লেখালেখির শুরু স্কুল জীবনে। বিকাশ আশির দশকে। পেশা সাংবাদিকতা। বর্তমানে তিনি ঐতিহ্যবাহী ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন ডিইউজে’র নির্বাচিত সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। একই সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছেন ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে। তিনি সরকারি নজরুল ইন্সটিটিউটের নির্বাহী পরিচালকের দায়িত্বও পালন করেন। স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম নিয়মিত সাহিত্য মাসিক এখন-এর মূল স্থপতি তিনি। কবিতা, ছড়া, জীবনী, গল্প, গবেষণা, ভ্রমণ, চলচ্চিত্র সব মিলিয়ে তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা শতাধিক। জননেতা অলি আহাদের স্নেহধন্য তিনি। অলি আহাদের জীবনের সবচেয়ে দীর্ঘ সাক্ষাৎকারও তাঁরই নেয়া।