কিছু বিষয় মানুষ বয়সের সাথে সাথে বুঝে যায়, শিখে নেয়। ফলে নতুন করে তা শেখানোর প্রয়োজন পড়ে না। ‘যৌনশিক্ষা’ বিষয়টি ঠিক তেমনই, কিন্তু পশ্চিমারা বর্তমানে এই বিষয়টিকে এমন বিকৃতভাবে তুলে ধরছে, যা তরুণ প্রজন্মকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। এই প্রজন্মকে যদি এখনই ‘সঠিক যৌনশিক্ষা’ না দেওয়া যায়, তাহলে অদূর ভবিষ্যতে তাদের যৌনজীবন, পারিবারিক বন্ধন ধ্বংস হয়ে যাবে। খোঁজ নিলে জানতে পারবেন—ইতোমধ্যে পশ্চিমা দেশগুলোতে পারিবারিক বন্ধন একেবারে নেই বললেই চলে!
.
পশ্চিমারা পর্নোগ্রাফি-ফিল্ম ইন্ড্যাস্ট্রির মাধ্যমে যুবসমাজকে বিপথগামী করে দিচ্ছে। তাদেরকে নীল ছবির ফাঁদে ফেলে বিপথজনক পথে নিয়ে যাচ্ছে। একসময় যুবকরা পাপের পথ বেছে নিচ্ছে। তাদের হৃদয় থেকে ঈমান উঠে যাচ্ছে। ফলে হৃদয়ে যে প্রশান্তি থাকার কথা, তার কিছুই থাকছে না। একসময় তারা হতাশ হয়ে নিজ ধর্মকর্ম ছেড়ে নিজেকে পাপের সাগরে ভাসিয়ে দিচ্ছে।
.
পর্নোগ্রাফির চাক্যচিক্যময় ভিডিও, অভিনয় দেখে যুবসমাজ নিজেদের তাদের সাথে মিলানোর চেষ্টা করছে, অথচ তারা এটি বুঝতে পারছে না যে, দশ ঘন্টার ভিডিও কেটে তারা এক ঘন্টার একটি ভিডিও তৈরি করছে। সেই ফেক বা ভুয়া অভিনয়ের সাথে বাস্তব জীবনকে তো মেলানো সম্ভব নয়। এই সহজ বিষয়টি না বুঝে অসংখ্য যুবক পর্নোতারকার সাথে তুলনা করে দুর্বল ভেবে নিজেকে রোগী বানিয়ে নিচ্ছে! ফলে অনেকেই বিবাহ করতে ভয় পাচ্ছে।
.
চেম্বারে আসা অধিকাংশেরই মূল সমস্যা হলো—পর্নোগ্রাফির চাক্যচিক্যময় ভিডিও দেখে হস্তমৈথুন করে বা অবৈধভাবে যৌন চাহিদা মিটিয়ে নিজেকে রোগী বানিয়ে নিয়েছে। এখন বিবাহ করার যখন সময় এসেছে বা বিবাহ করে যখন স্ত্রীকে ঠিকমতো সময় দিতে পারছে না। তখন চোখে অন্ধকার দেখছে, হতাশায় ডুবে যাচ্ছে।
.
অন্যদিকে অনেক মেয়ে নিষিদ্ধ সাইটের অশ্লীল ভিডিওর পুরুষদের সাথে যখন নিজের স্বামীকে মিলাতে যাচ্ছে, তখনই ঘটছে বিপত্তি। তারা সেই ফিল্মের নায়কের বিশেষ অঙ্গের সাথে বা তার অভিনয়ের মতো নিজের স্বামীকে পাচ্ছে না। ফলে তারা স্বামীকে দুর্বল ভাবছে, অথচ তার স্বামী সম্পূর্ণ সুস্থ! এসব ভুল ধারণা থেকে ডিভোর্সের মতো ভয়ংকর ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটেছে।
.
‘সুখময় যৌনজীবন’ বইয়ের মাধ্যমে যৌনতা সম্পর্কে মারাত্মক ভুলগুলো ভাঙিয়ে দেওয়া হয়েছে। বইতে এমন কিছু বিষয় তুলে ধরা হয়েছে, যা আপনারা ইতোপূর্বে কখনোই জানতে পারেননি। ফলে যুবসমাজ বিপথগামী না হয়ে, সুস্থ ও সঠিকভাবে যৌনজীবন গড়তে পারে। অনুরোধ—এই বইটি পড়ে কেউ কোনো পাপ কাজে নিজেকে জড়াবেন না, এটি আপনার কাছে আমানত। এরপরও যদি কোনো পাপের কাজ করেন, তাহলে তার দায়ভার একান্তই আপনার।
.
আমার বিশ্বাস—এই বইটি শত শত মানুষের উপকারে আসবে। বিবাহ বিচ্ছেদ হতে যাওয়া বহু দম্পত্যি আবারও সুখে সংসার করতে পারবে, বহু যুবক-যুবতী অশ্লীল ভিডিও, হস্তমৈথুনের মতো ভয়ংকর পাপের কাজ ছেড়ে আলোর পথে ফিরে আসবে, যারা নিজেদেরকে বিনা কারণে রোগী মনে করে—তারা সচেতন হয়ে নিজেকে সুস্থ ভাবতে পারবে, ইনশাআল্লাহ।
ডা. এস আর খান
তিনি পেশায় একজন চর্ম ও যৌন চিকিৎসক। ঢাকার ‘শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ’ থেকে এমবিবিএস পাস করেন। . তিনি ঢাকার ‘ইবনে সিনা হাসপাতাল’-এ সুনামের সহিত মেডিকেল অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও সাবেক পিআরপি আইসিডিডিআরবি মহাখালী, ঢাকা। . বর্তমানে তিনি ‘টেস্টো লাইফ হাসপাতাল’ আরশিনগর, মুহাম্মদপুরে চর্ম ও যৌনরোগ চিকিৎসক হিসেবে কর্মরত আছেন। পাশাপাশি সোস্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন প্লাটফর্মে লেখালিখি ও ভিডিওর মাধ্যমে চর্ম ও যৌনরোগ বিষয়ে বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন। . ‘সুখময় যৌনজীবন’ এটি তাঁর প্রকাশিত প্রথম গ্রন্থ।