সুখী বিবাহিত ব্যাচেলর (হার্ডকভার)
সুখী বিবাহিত ব্যাচেলর।। ।। সুখী বিবাহিত ব্যাচেলর এমন একটা বই যাতে বিনোদনের সমস্ত খোরাক রয়েছে। রয়েছে জানা অজানা হরেকরকমের কথা। ভালোবাসা, বন্ধুত্ব, পাগলামি, রোমাঞ্চ, রোমান্স, ভ্রমণকথা, মানব মনস্তত্ত্ব কি নেই এই বইয়ে? বইটি পড়তে গেলে মনে হয় এক পুরোপুরি জীবনদর্শন পড়ছি হয়তো। বইটি আমার অনেক পছন্দের বই। কারণ মৌরি মরিয়ম সমস্ত কিছু অনেক সুন্দর আর হৃদয়গ্রাহী করে বর্ণনা করেছেন। সুখী বিবাহিত ব্যাচেলর পড়তে গিয়ে আশপাশ ভুলে গিয়েছি। ডুব দিয়েছি চার বন্ধুর রাজ্যে, হারিয়ে গেছি শরৎ এর শিল্পকর্মের মাঝে। অনুভব করেছি প্রজ্ঞার হৃদয়ের কথা, তার ভালোবাসার জন্য অপেক্ষা আর ধৈর্য্য দেখে অবাক হয়েছি। সত্যিই কি নেই এই বইয়ে।লেখিকার হাতের জাদুতে মনে হয়েছে আমি যেন তাদের সাথেই আছি। বিশেষ করে ভোলার বাংলোর বর্ণনা শুনে বাংলো টি যেন একদম চোখের সামনে ভেসে উঠেছে। ছবির থিমগুলোও এতটাই সরস ছিলো যে মনে হয়েছে ছবিগুলি জীবন্ত হয়ে গিয়েছে। বইয়ের পুরোটা জুড়ে রয়েছে রবীন্দ্র সংগীতের অবাধ ব্যবহার। উপযুক্ত পরিস্থিতিতে গানগুলোর উপস্থিতি কাহিনীকে গতিশীল করে তুলেছে। দিয়েছে অন্য মাত্রা। গল্পের মধ্যে লেখিকা কিছু সাসপেন্স আর ভ্রমণ কাহিনীও যোগ করেছেন। যাতে করে বইটি অসাধারণ হয়ে উঠেছে আমার কাছে। আরেকটি জিনিস লক্ষ্যণীয় যে লেখিকা বর্তমান কালের তরুণ প্রজন্মদের মনস্তত্ব খুব ভালো ভাবে বিশ্লেষণ করেছেন। যেমন " লোকে বলে ' মেয়েরা খুব অভিমানী হয়' কিন্তু তারা জানে না যে মেয়েদের চেয়ে ছেলেরা বেশী অভিমানী হয়" সুখী বিবাহিত ব্যাচেলর বইটি চার বন্ধুর একটি মজার গল্প কাহিনী তাই সুখী বিবাহিত ব্যাচেলর বইটি পড়ে আপনারা অনেক অনেক মজা পাবেন আশা করি।।।।
সুখী বিবাহিত ব্যাচেলর নামটাই কেমন না? বিবাহিত ব্যাচেলর হয় নাকি আবার? উপন্যাসটা শুধু মাত্র একটি উপন্যাস নয় একটি ফুল প্যাকেজ বলা চলে। কি নেই উপন্যাসে? পারিবারিক সম্পর্ক, হাসি, কান্না, বন্ধুত্ব, ভালোবাসা, প্রেম, বিচ্ছেদ সবটা নিয়েই সুখী বিবাহিত ব্যাচেলর। উপন্যাসে একদিকে যেমন বন্ধুত্ব রয়েছে প্রেম রয়েছে আবার দায়িত্ববোধ ও রয়েছে। যা কিছুই লিখিনা কেন মনে হয় কম হয়ে যাবে। বইটা অনেকবার পড়া হয়ে গেছে তবু আবার পড়তে ইচ্ছে হয়। কেন জানি এই বইয়ের ব্যাপারে লিখতেই পারছিলাম না বারবার মনে হচ্ছিল আর ও কয়েকবার পড়ে নেই। বইটার নেশা কাটানো প্রায় অসম্ভব হয়ে যাচ্ছে। বইটার কিছু জার্নির ও উল্লেখ আছে। হাসি মজা তামাশাও আছে। উপন্যাসটা সম সাময়িক প্রেমের গল্প। একদম বাস্তব মনে হয়। বন্ধুদের সাথে যেভাবে কথা বলা হয় সেভাবেই উপস্থাপন করা হয়েছে। অনেক কিছুই মুখে বলা যায়না শুধুই অনুভব করতে হয়। জীবনের পথ কখন কি করে পাল্টে যায় কেউ বলতে পারেনা। অনাকাঙ্ক্ষিত পরিণতিটাকেও মেনে নিতে হয়। কিছু মানুষ হয় যারা নিজেদের মনের কথা চেপে রেখে অন্যদের সাথে হাসি মুখে কথা বলতে পারে। কিছু মানুষ ধৈর্য্যের প্রতীক হয়। চাওয়া পাওয়া সব সময়ই থাকবে কিন্তু সব কিছু তো পূরন হবার নয় এটাই প্রকৃতির নিয়ম। কেউ হয়ত অল্পতেই সন্তুষ্ট আবার কেউ হয়ত অনেক পেয়েও অসন্তুষ্ট। কেউ কেউ নিজের স্বার্থে অন্যকে কষ্ট দেয় আবার কেউ অন্যের জন্য নিজেই কষ্টের ভাগ নেই। পৃথিবীর নিয়মই এটা। সুখী বিবাহিত ব্যাচেলর বই পড়ে এতটাই ঘোর লেগেছে যে প্রজ্ঞা,শরৎ,দীপ, মোহ থেকে বের হতেই পারছিনা। আমি সাধারণত গল্পের কাহিনীর উপর ক্রাশ খাওয়া যেটাকে বলে সেটা খাই। আর গল্পের নায়ক নায়িকাদের গল্পের আলোকে ভালো লাগে। এই উপন্যাসের সবচেয়ে ভালো লাগছে যে নায়িক নায়িকা সাবলম্বী। তাদের আচরণ নিজেদের স্থান থেকে সঠিক। যদিও ভুল বুঝাবুঝির খাতিরে সম্পর্কে চির ধরার মত ভুল হয়। গল্পটা একদম বাস্তবিক লেগেছে আমার কাছে। উপন্যাসে আরেকটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উঠে এসেছে। তা হল গায়ের রং। আসলেই মেয়ে কালো হলে মা রা চায় মেয়েরা এটা সেটা মেখে ফর্সা হোক। একটা মেয়ে জন্মের পর মেয়ে কালো হলে সমাজের লোক জন বলাবলি করেই এ মেয়ে পার করতে অনেক সমস্যা হবে। কালো ফর্সা নিয়ে আমাদের সমাজ আজীবনই তারতম্য করে গেছে করে এবং ভবিষ্যৎ এ ও করবে যতই উন্নত হোক না কেন এদেশের। অন্য কোনো যোগ্যতার দাম না দিয়ে শুধুমাত্র কালো ফর্সার তারতম্য করে যোগ্যতা নির্ধারন করা হয় আমাদের সমাজে। প্রথম দর্শনেই মেয়েটিকে কালি কুৎসিত বলে মেয়েটির মন ভেঙে দেওয়া হয়। সবার দৃষ্টি ভঙ্গি পাল্টানো দরকার। কালো হলেই তার যোগ্যতা নেই এসব ভাবা যাবেনা। সুখী বিবাহিত ব্যাচেলর উপন্যাসটি আপু খুব সাবলীল ভাবে সব টা ফুটিয়েছে কেন জানি লাস্টে এসে মনে হয়েছে খুব তাড়াহুড়ো হয়েছে। বারবার মনে হয়েছে আরেকটু বড় হলনা কেন? উপন্যাসে আবেগ, উপলব্ধি, ভালোবাসা আর দায়িত্ববোধের ব্যাপারগুলো খুব স্পষ্ট ভাবে ফুটিয়েছে আপু। কিছু দুষ্ট মিষ্টি প্রেম আছে আবার আছে প্রগার ভালোবাসা। আছে বন্ধুত্ব আছে ভরসা। আবার ছোটখাটো ভুল বুঝাবুঝিও আছে। কার ও দায়িত্ব নেওয়ার ব্যাপারটাও আছে। আর উপন্যাসে প্রেমাতাল,অভিমানিনী,তোমায় হৃদ মাঝারে রাখবো এর চরিত্র গুলোর আসায় যেন সুখী বিবাহিত ব্যাচেলর আর ও সুন্দর হয়ে গেছে। প্রেমাতালের মুগ্ধ তিতির অলওয়েজ সুখে ভালোবাসায় থাকে যেন। তিতির বেশ দুষ্ট হয়েছে অবশ্যই মুগ্ধর জন্যই অভিমানিনীর নীরব দিতিয়া মানুসীর জন্য সব সময় একটা সফট কর্ণার থাকে।।ওদের জন্য সব সময় ভালোবাসা থাকবে। ওদের কথা পড়লেই অভিমানিনীর গল্প মনে পড়ে। আর তোমায় হৃদমাঝারে রাখবো এর কলরব নিহিন আর কল্প ও ভালো থাকুক সবসময়।
সুখী বিবাহিত ব্যাচেলর বইটা পড়ে অত্যন্ত প্রানবন্ত চমৎকার বিনোদন পাওয়া গেছে লেখিকার লেখনিতে চরিত্রগুলো ফুটিয়েতুলতে পেরেছেন। বইটি পড়ে অনেক আনন্দ পেয়েছি
বইটি পড়ে ভালো লেগেছে। কিন্তু দাম অনুযায়ী লিখা আরও ভালো হতে পারতো ।