ফ্ল্যালে লেখা কিছু কথা এই গ্রিড এখন বাংলাদেশও ছড়িয়ে পড়ছে।বিশ্বের অনেক দেশে, এখন এই গ্রিডগুলো দেখা যায়-সবখানে। পত্রিকার পাতায়, ইলেকট্রিনিক মিডিয়ায়, স্টেশনের অপেক্ষা কক্ষে, ট্রেনের বগিতে কিংবা ট্রানজিট লাউঞ্জে। একটি বুড়ো চৌকোনো ঘরের মধ্যে ৮১টি ছোট ছোট ঘর।সেই ঘরগুলোতে বসাতে হয় ১ থেকে ৯ পর্যন্ত সংখ্যা!যদিও প্রতিক ভিন্ন সংখ্যাগুলোর আলাদা কোন মহাত্ন নেই!সংখ্যার এই খেলার প্রচলিত নাম সুডোকু।নামে বোঝা যায় এটি জাপানি খেলা।আসলে কিছু তা নয়। এখনকার সুডোকুর জন্ম একজন মার্কিন স্থপতির হাতে এবং তা শুরু হয়েছে আমেরিকায়। কিন্তু খেলাটি জনপ্রিয় হয়েছে জাপানিদের হাতে, জাপানি নামে! গণিতের কালারিং সমস্যা আর লাতিন বর্গের সঙ্গে এই খেলার মিল রয়েছে। সেই হিসাবে গণিতবিদ অয়েলারের সঙ্গে এই খেলায় যোগ খুঁজে পাওয়া যায়। বাংলাদেশে গেল কয়েক বছর ধরে সুডোকু খেলার প্রচলন ও বিকাশ।২০০৮ সাল থেকে বাংলাদেশ অংশ নিচ্ছে সুডোকুর বিশ্বচ্যাম্পিয়নশীপে। আমাদের জানামতে, বাংলাদেশে সুডোকু নিয়ে বাংলাভাষায় এটি প্রথম পূর্ণাঙ্গ বই।খেলার নিয়মকানুন সহ সুডোকু সমাধানের নানা কৌশল বর্ণিত হয়েছে এই পুস্তকে। ধারাবাহিকভাবে, কৌশলগুলোর প্রয়োগ দেখানো হয়েছে। আর সঙ্গে রয়েছে অনুশীলন করার জন্য ১০০ টি সুডোকু! সূচিপত্র *অধ্যায়-১ : শুরুর কথা *অধ্যায়-২ : যেভাবে চেনা হবে *অধ্যায়-৩ : সমাধানের প্রথম ধাপ *অধ্যায়-৪ : নানা পদ্ধতির প্রয়োগ ও অনুমান *অধ্যায়-৫ : একটি বিশেষ কৌশল *অধ্যায়-৬ : অসম্ভবের সন্ধানে *নিজে কর *সমাধান
মুনির হাসান
মুনির হাসানের (জন্ম ২৯ জুলাই, ১৯৬৬) জন্ম চট্টগ্রামে। হাইস্কুলের পড়ালেখাও সেখানেই- সেন্ট মেরিজ, মুসলিম এডুকেশন সােসাইটি ও মুসলিম হাইস্কুল। পরে চট্টগ্রাম কলেজ হয়ে ঢাকার বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে।
দৈনিক সংবাদের সাপ্তাহিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ফিচার পাতায় লেখালেখির মাধ্যমে সাহচর্য পেয়েছেন বিজ্ঞান লেখক ও বিজ্ঞান কর্মী আ, মু. জহুরুল হক, আবদুল্লাহ আল-মুতী, শরফুদ্দিন কিংবা এ আর খানের। তাদের অনুপ্রেরণায় নিজেকে বিজ্ঞান জনপ্রিয়করণের কর্মী হিসেবে গড়ে তােলার চেষ্টা করেছেন। ১৯৯৫ সাল থেকে ভােরের কাগজে এবং ১৯৯৮ সাল থেকে দৈনিক প্রথম আলােয় বিজ্ঞানবিষয়ক সাপ্তাহিক ফিচার পাতার সম্পাদনা করেছেন। ২০০৩ সালে অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবাল, অধ্যাপক মােহাম্মদ কায়কোবাদের সঙ্গে থেকে অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরীর নেতৃত্বে গড়ে তােলেন বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটি। বর্তমানে তিনি কমিটির সাধারণ সম্পাদক। গণিতের পাশাপাশি বিজ্ঞান ও প্রােগ্রামিং প্রসারের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। তার চাকরি খুঁজব না, চাকরি দেব’ নামের প্ল্যাটফর্মটা তরুণদের উদ্যোক্তা হতে উৎসাহিত করছে। গণিত আর বিজ্ঞান নিয়ে লেখার পাশাপাশি যুক্ত রয়েছেন ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির তথ্য ও যােগাযােগ প্রযুক্তির পাঠ্যপুস্তক রচনা ও সম্পাদনায়। বর্তমানে দৈনিক প্রথম আলােয় যুব কর্মসূচি সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করছেন। স্ত্রী সামিয়া আকতার, পুত্র ফারদীম রুবাই ও কন্যা ওয়ামিয়া বিদুষীকে নিয়ে মুনির হাসান ঢাকায় থাকেন।