আজকের দিনে অতিচিন্তা বা দুঃশ্চিন্তা বেশিরভাগ মানুষের জন্য অনেক বড় এক সমস্যার নাম। কিন্তু, অতিচিন্তা আপনার সমস্যার কোনো সমাধান দেয় না; বরং বর্তমানের সুন্দর ও স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় বিঘ্ন ঘটায়।
কেননা, অতিচিন্তা হলো অসুখী জীবনের সবচেয়ে বড় কারণ। তাই, চিন্তার বেড়াজালে আটকে যাবেন না। নেতিবাচক চিন্তার ধারা থেকে বেড়িয়ে আসুন, চাপ কমান এবং চিন্তামুক্ত জীবন যাপন করুন।
বর্তমানে থাকুন এবং সেই জিনিসগুলো থেকে মনকে দূরে রাখুন যা আপনার কোনো কাজে আসে না, কখনো আসবেই না।
তাই, নিজের তৈরি অতিচিন্তা ও উদ্বিগ্নতার এই কারাগার থেকে বেড়িয়ে আসুন।
এক্ষেত্রে আপনার জন্য দারুণ এক দিকনির্দেশিকা হিসেবে কাজ করবে ‘স্টপ ওভারথিংকিং’ বইটি। অতিচিন্তা, উদ্বিগ্নতা ও চাপে পড়ার কারণ ও ধরণসমূহ এবং এসব থেকে বেড়িয়ে আসার বিস্তারিত কৌশল সুন্দরভাবে আলোচিত হয়েছে এই বইয়ে। এই পরীক্ষিত কৌশলগুলো আপনার মস্তিষ্কের পুনর্গঠন, চিন্তার স্রোত নিয়ন্ত্রণ এবং মানসিক অভ্যাস বদলে সাহায্য করবে।
সবচেয়ে বড় কথা, নিজেকে নিয়ে আপনার চিন্তা-ধারণা পুরোপুরি পরিবর্তনে এবং অতিচিন্তার প্রবাহ একেবারে থামিয়ে দেওয়ার জন্য অনেকগুলো বৈজ্ঞানিক কৌশল তুলে ধরেছে বইটি, যা নিঃসন্দেহে জন্য হবে অত্যন্ত ফলপ্রসূ, কার্যকর।
নিক ট্রিনটন
নিক ট্রিনটনের নিজস্ব ওয়েবসাইট আছে। সেখান থেকে নানা ধরনের পরামর্শ ও সেবা পেতে পারেন। www.nicktrenton.com. লেখকের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করলেই প্রয়োজনীয় সুস্থতা এবং মানসিক সুখের ৪টি অপরিহার্য কলাকৌশলের ওপর বিনামূল্যের একটি মিনিবুক পাবেন।
নিক ট্রিনটন ইলিনয়ের গ্রামীণ পরিবেশে বেড়ে উঠেছেন এবং আক্ষরিক অর্থেই একজন কৃষকের ছেলে। বেড়ে ওঠার সময় তার সেরা বন্ধু ছিল শিকারী কুকুর লিওনার্ড।
অবশেষে, তিনি খামার থেকে বেরিয়ে এসে অর্থনীতিতে অনার্স করেন। এরপর মাস্টার্স করেন আচরণগত মনোবিজ্ঞানে। তার পছন্দের কাজগুলো হচ্ছে মানুষের সাথে আলাপ-আলোচনা করা, মানুষ দেখা, লেখালেখি করা প্রভৃতি।
তিনি বরফে স্কি করেন এবং পৃথিবী ঘুরে দেখার স্বপ্ন দেখেন। এর পাশাপাশি তিনি একটি ফুড শোতেও উপস্থাপনা করেন। যাই হোক, তিনি বেশির ভাগ সময় শিকাগোতেই কাটান।