ফ্ল্যাপের কিছু কথাঃ শীলকালের অন্ধকার রাত। রাস্তায় জনমানব নেই। অনেক রাস্তায় আলো-আঁধারের রহস্যময় লুকোচুরি খেলা। চারদিক নিথর নিস্তব্ধ। নিজের পায়ের শব্দ ছাড়া অন্য কোনো শব্দই শুনতে পাচ্ছিলাম না। রাত তখন প্রায় তিনটে বাজে। নির্জন রাস্তায় একা যেতে যেতে আমার পা ছমছম করতে লাগল। এখান থেকে কিছুটা দূরে দুটো রাস্তা যেখানে পরস্পরকে অতিক্রম করেছে, সেখানে এসে পড়লাম। দেখলাম দশ-এগারো বছরের একটা বাচ্চা মেয়ে ছুটতে ছুটতে আসছে। অন্যদিকে থেকে খাটোমতো একটা অদ্ভূত মূর্তি দ্রুতপায়ে এগিয়ে আসছে মেয়েটির দিকে। দুজনের মধ্যে ধাক্কা লাগল। ধাক্কা সামলাতে না পেরে বাচ্চা মেয়েটা ছিটকে রাস্তায় পড়ে গেল। তারপর যা ঘটল তা তুমি বিশ্বাস করতে পারবে না। কোথায় লোকটা বাচ্চা মেয়েটিকে তুলবে, তা না সে একটা হিংস্র জন্তুর মতো মেয়েটিকে নিষ্ঠুরভাবে মাড়িয়ে এগিয়ে গেল। বাচ্চাটা ভয়ে, যন্ত্রণায় চিৎকার করতে লাগল। আমি মেয়েটিকে সাহায্য করার জন্য ছুটে গেলাম...... বিশ্ববিখ্যাত লেখক রবার্ট লুই স্টিভেনশনের অসাধারণ এক কাহিনী যা পাঠককে নিয়ে যাবে রহস্য ও গা ছমছমে অকল্পনীয় এক জগতে।
রবার্ট লুইস স্টিভেনশন
রবার্ট লুইস বালফার স্টিভেনসন, জাতীয়তা স্কটিশ। জন্ম ১৩ নভেম্বর ১৮৫০ খ্রিষ্টাব্দে, এডিনবরা, স্কটল্যান্ডে পেশা : লেখালেখি, লিখেছেন: উপন্যাস, কবিতা, গল্প এবং ভ্রমণকথা নাগরিকত্ব : যুক্তরাজ্য শিক্ষা : ১৮৫৭ মিস্টার হেন্ডারসন স্কুলে ভর্তি হন, ১৮৫৯ সালে মি. হেন্ডারসন’স স্কুলে ফিরে যান। ১৮৬১ সালে এডিনবার্গ একাডেমি ভর্তি হন। ১৮৬৩ : আইলওয়ার্থ, মিডলসেক্সে বাের্ডিংস্কুল ১৮৬৪ : রবার্ট থমসন স্কুল, এডিনবরা অতপর ১৮৬৭ সালে। এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্রাজুয়েশন করেন। সময়কাল ভিক্টোরিয়ান যুগ ৩ ডিসেম্বর ১৮৯৪ ভ্যালিমা, সামােয়ান দ্বীপপুঞ্জে মাত্র ৪৪ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
ডা. মিজানুর রহমান কল্লোল
ডা. মিজানুর রহমান কল্লোল জন্ম ১ জানুয়ারি, খুলনা । বাবা বিশিষ্ট মুক্তিযােদ্ধা অধ্যক্ষ মােস্তাফিজুর রহমান এবং মা রাহিলা খাতুন। বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজের ১৬তম ব্যাচের ছাত্র ছিলেন, এমবিবিএস পাশ করেন ১৯৯৩ সালে । ছাত্রজীবনে সক্রিয় রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তিনি শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজের ছাত্র সংসদের নির্বাচিত সাহিত্য সম্পাদক ছিলেন। বর্তমানে ঢাকা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে সার্জারি বিভাগে কর্মরত রয়েছেন। তিনি থােরাসিক সার্জারিতে এমএস করছেন। পেশাগত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি লেখালেখি করেন প্রচুর। বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক, পাক্ষিক ও মাসিকে নিয়মিত লিখে যাচ্ছেন। যদিও লেখালেখির শুরুটা কবিতা দিয়েই, কিন্তু বর্তমানে বেশি ব্যস্ত স্বাস্থ্য বিষয়ক লেখালেখিতে । সায়েন্সফিকশন এবং ভৌতিকগল্পও লিখছেন প্রচুর । অনুবাদেও সমান দক্ষ। ইতােমধ্যে তার বেশ কিছু অনুবাদের বই বেরিয়েছে। প্রথম কবিতার বই একজন স্বপ্ন পুরুষের কাছে মৃত্যুর অনুবাদ প্রকাশিত হয় ১৯৮৯ সালে। বাংলায়। প্রথম দীর্ঘ সায়েন্সফিকশন কবিতা লেখেন তিনি, পৃথিবীর মৃত্যুতে কাঁদেনি কেউ শিরােনামের এই সায়েন্সফিকশন কবিতাটি প্রকাশিত হয় অন্যদিন পত্রিকায়। স্বাস্থ্য বিষয়ক লেখালেখিতে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ১৯৯৯ সালে পেয়েছেন। আনােয়ারা-নূর পুরস্কার। তাঁর স্বাস্থ্য বিষয়ক বইগুলাে ব্যাপকভাবে পাঠক জনপ্রিয় হয়েছে। রহস্য পত্রিকায় তিনি পাঠকদের স্বাস্থ্য বিষয়ক প্রশ্নের উত্তর দেন। উন্মাদ পত্রিকায় তিনি পরিকল্পনা বিভাগে রয়েছেন। তিনি একটি জাতীয় দৈনিকের সাব এডিটর।
Title :
স্ট্রেঞ্জ কেজ অভ ডক্টর জেকিল এন্ড মিস্টার হাইড