ভূমিকা বাংলা সাহিত্যে ব্যঙ্গকবিতা বিস্তৃত জায়গা জুড়ে ছড়িয়ে আছে। হাস্য-রসাত্মক বিষয়ের অবতারণার মধ্যযুগের বাংলা ক্ষেত্রে লক্ষ্য করা গেলেও যথার্থ ব্যঙ্গকবিতার উদ্ভব হয়েছে আধুনিক যুগে।রঙ্গরসিকতা জীবনের একটা অংশ বিবেচনা করে কবি-সাহিত্যিকগণ তাঁদের রচনার বিষয়বস্তু হিসেবে তা নির্বাচন করেছেন।এর ফলে বাংলা সাহিত্যের সব শাখাতেই ব্যঙ্গরচনার নিদর্শন দেখা যায়।জীবন নিয়েই সাহিত্য। আর জীবনের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে আছে রঙ্গরস।তাই সাহিত্য রচনাকালে কবি-লেখকগণ রঙ্গব্যঙ্গকে তাঁদের রচনার উপজীব্য করেছেন।অনেক ক্ষেত্রে ব্যঙ্গরচনা কেবল আনন্দের উৎস হিসেবে বিবেচিত হয়েছে, কখনও সুতীব্র বিদ্রুপের মাধ্যমে বক্তব্যের উপস্থাপন করা হয়েছে।তাবে উদ্দেশ্য যা-ই থাক ব্যঙ্গরচনার মাধ্যমে আনন্দ পরিবেশনের লক্ষ্য প্রধানভাবে বিরাজমান থাকে।বাংলা সাহিত্যে ব্যঙ্গকবিতার শুরু ঈশ্বর গুপ্তের হাতে।অবশ্য তাঁরও আগে ভারতচন্দ্র রায় গুণাকর পরিহাস রসিকতায় বাংলা সাহিত্যের অঙ্গনে অনাবিল হাসির সৃষ্টি করেছিলেন। বাংলা সাহিত্যের কবিরা ব্যঙ্গকবিতা রচনার সংখ্যাধিক্যে, বৈচিত্রে ও উৎকর্ষে যথেষ্ট সার্থকতার পরিচয় দিয়েছেন। শ্রেষ্ঠ কবিগণও রেখে গেছেন ব্যঙ্গ-কবিতার অনবদ্য নিদর্শন।বর্তমান সংগ্রহে বাংলা ব্যঙ্গকবিতার শ্রেষ্ঠ নিদর্শন সংকলিত করার চেষ্টা করা হয়েছে। মাহবুবুল আলম সূচিপত্র *নারীগণের প্রতিনিন্দা *বাঙালির মেয়ে *বাঙালির মেয়ে *কলির অদ্ভুত জীব *বঙ্গবীর *স্ত্রীর উমেদার *বেহায়া বেহাই *উদ্দীপনা *লাঠি *ঘাস *আদর্শ বিয়ের কবিতা *উনপঞ্চাশৎ নাম *চটি বিলাপ *খাই খাই * মার্জার নিধন কাব্য *ফেমিন রিলিফ *আবার নন্দলাল *ধামার মহিমা *ছত্র বিয়োগে *শ্যালিকা *দাড়ি-বিলাপ *সমারূঢ় *পৃহীর প্রভাতচিন্তা *ট্র্যাজেডি-বৃক্ষের আর একটি ফল *হর-পার্বতী সংবাদ *হবুচক্রের আইন *পণ *অতিথি ইচ্ছে *হারানো টুপি *নিউটন ও ডাব *কোনো বুড়ো-গরুর প্রতি *ব্রতকারী ধন্যবাদ *নেতা *আফিমখোরের প্রার্থনা *চোদ্দ শো সাল *মানপত্র *ছড়া *কতিপয় আমালার স্ত্রী *যদি হতাম *অতীতের প্রশংসায় *একটি মোরগের কাহিনী *খোলা চিঠি *তোতা কাহিনী *একটি মোনাজাতের খসড়া *লিমেরিকা *এখন আমি কি করি *শব্দার্থ *খাদ্যের কোন সংকট নেই *পশু সংবাদ *তা হয় না *আমি, আলিবাবা ও ৪০ চোর *একজন আরজ আলী *ফুল ফুটেছে থোকা থোকা *গভরমেন্টের টাকা *ভাগুন *কোদাল কাব্য *ছাগলের হাসি ও একটি পাউরুটি