মেয়েটা মিটিমিটি হাসছে। হঠাৎ হাসি বন্ধ করল সে। লাফিয়ে মুখ চেপে ধরল ডা. সুজানার। এবার আর কোনো কথা নেই। ব্লেড দিয়ে ঠোঁটের কোণায় একটা পোঁছ দিল। চির চির করে রক্ত বের হলো। চিৎকার করে উঠল সুজানা। ভয়াবহ যন্ত্রণায় তার চোখ বন্ধ হয়ে এলো। মেয়েটা চিৎকার করে বলছে, ‘শালী তুই অপরাধ করে ‘সরি’ বলাও শিখিস নাই?’
চোখ লাল হয়ে আছে মেয়েটার। দম বন্ধ হয়ে আসছে তার। ঠিক সেই মুহূর্তে সুজানা বুঝতে পারল তার তর্জনী কচ করে কেটে দিয়েছে সে। ফিনকির মতো রক্ত বের হচ্ছে। মুখ দিয়ে আকাশভাঙা চিৎকার দেয় সুজানা। কিন্তু মুখ প্রচণ্ড শক্তিতে চেপে ধরেছে মেয়েটা। কী নিষ্ঠুর! কী ভয়াবহ সেই মূহূর্ত! কে এই মেয়ে?
কেন সে ‘সরি’ বলতে বলে সুজানাকে?
আহমেদ ফারুক
নিজেকে সুখী মানুষ ভাবতে ভালােবাসেন। লেখেন ইচ্ছে হলে, ইচ্ছে না হলে কিছুই লেখেন না। স্বপ্ন দেখেন ‘লাইটহাউজ’ নামক এক মিলনকেন্দ্রের। যেখানে কিছু নিঃস্ব মানুষের গল্প লেখা হবে। ছােটবড় মিলে বই লিখেছেন ২৭টি ছােটগল্প লিখেছেন সবচেয়ে বেশি। কাক’ তার লেখা সবচেয়ে জনপ্রিয় গল্পগ্রন্থ। এ ছাড়াও লিখেছেন উপন্যাস, গল্প এবং নাটক। প্রচারবিমুখ নিভৃতচারী এই কথাসাহিত্যকের জন্ম ২৮ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৮। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করে পুরােদমে লেখালেখি আর প্রকাশনার সাথে যুক্ত। বাবা মরহুম সামছুল হক ছিলেন কৃষিবিদ। মা ফাতেমা খাতুন, স্ত্রী জেবা, মেয়ে নাবা এবং পুত্র অবনীলকে নিয়েই তার যাপিত জীবন।।