সুকুমার রায় (৩০ অক্টোবর, ১৮৮৭ - ১০ সেপ্টেম্বর, ১৯২৩) একজন বাঙালি শিশুসাহিত্যিক ও ভারতীয় সাহিত্যে "ননসেন্স রাইমের" প্রবর্তক। তিনি একাধারে লেখক, ছড়াকার, শিশুসাহিত্যিক, রম্যরচনাকার, প্রাবন্ধিক, নাট্যকার ও সম্পাদক। তিনি ছিলেন জনপ্রিয় শিশুসাহিত্যিক উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরীর সন্তান এবং তাঁর পুত্র খ্যাতিমান চলচ্চিত্রকার সত্যজিৎ রায়। ১৯২৩ খ্রিস্টাব্দে কালাজ্বরে (লেইশ্মানিয়াসিস) আক্রান্ত হয়ে মাত্র সাঁইত্রিশ বছর বয়সে সুকুমার রায় মৃত্যুবরণ করেন, সেই সময় এই রোগের কোনো চিকিৎসা ছিল না। তাঁর মৃত্যু হয় একমাত্র পুত্র সত্যজিত এবং স্ত্রীকে রেখে। সত্যজিত রায় ভবিষ্যতে একজন ভারতের অন্যতম চলচ্চিত্র পরিচালকরূপে খ্যাতি অর্জন করেন ও নিজের মৃত্যুর ৫ বছর আগে ১৯৮৭ সালে সুকুমার রায়ের উপরে একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রযোজনা করেন।
সত্যজিৎ রায়
সত্যজিৎ রায় (২ মে ১৯২১ – ২৩ এপ্রিল ১৯৯২) একজন প্রখ্যাত ভারতীয় চলচ্চিত্র নির্মাতা, চিত্রনাট্যকার, শিল্প নির্দেশক, সঙ্গীত পরিচালক ও লেখক। কলকাতার রায় পরিবারে জন্ম নেওয়া সত্যজিৎ রায়ের চলচ্চিত্র কর্মজীবন বাণিজ্যিক চিত্রকর্ম থেকে শুরু হলেও ফরাসি ও ইতালীয় চলচ্চিত্রের প্রভাবের পর তিনি চলচ্চিত্র নির্মাণে উদ্বুদ্ধ হন। তার প্রথম চলচ্চিত্র, *পথের পাঁচালী* (১৯৫৫), ১১টি আন্তর্জাতিক পুরস্কার লাভ করে এবং এটি অপু ত্রয়ী হিসেবে পরিচিত। সত্যজিৎ রায় তার কর্মজীবনে ৩৭টি পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র, প্রামাণ্যচিত্র ও স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছেন এবং তাকে বিংশ শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র নির্মাতাদের অন্যতম হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তার লেখা কাল্পনিক চরিত্র ফেলুদা ও প্রোফেসর শঙ্কু অত্যন্ত জনপ্রিয়। তিনি একাডেমি সম্মানসূচক পুরস্কার (অস্কার), ভারত রত্ন ও পদ্মভূষণসহ নানা মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার লাভ করেছেন। ২০০৪ সালে বিবিসির সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি তালিকায় ১৩ তম স্থান লাভ করেন। ১৯৯২ সালে হৃদযন্ত্রের জটিলতার কারণে তাঁর মৃত্যু হয়।