সবর (পেপারব্যাক)
আমরা মানুষ।।আমাদের ভুল হবেই।।কিন্তু সেটা থাকা উচিত সীমার মধ্যে।। রাগ অভিমান সব কিছু হওয়াটা যেমন স্বাভাবিক সেটা আবার সীমার বাইরে চলে গেলে হয়ে যাবে অস্বাভাবিক।। তাই আমাদের দৈনন্দিন জীবনে একটা চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের অনেক দরকার তা হচ্ছে " ধৈর্য্য "।। তাই আপনাদের জন্য যাদের সবর ও ধৈর্য্য আরো বাড়ানো দরকার । আল্লাহ চাইলে অবশ্যই আপনার মেজাজ,রাগ, অভিমান সব সীমার মধ্যে চলে আসবে ইনশাআল্লাহ।। বই- সবর
সত্যবাদিতা ইসলামের যেমন একটি ছিফত (গুণ), তেমনি হালাল উপার্জন একটি ছিফত। কিন্তু সবর (ধৈর্য্য) ইসলামের এমন একটি ছিফত যার প্রতিদান আল্লাহ পৃথিবীতেই দিবেন। সবরকৃত ব্যক্তি সেই বৃক্ষের ন্যায় যার শিকড় চলে গেছে ভূপৃষ্ঠের এমন গভীরে, যার কারনে যত ঝড়-ঘূর্ণিঝড় আসুক তাকে উপড়ে ফেলতে পারবে না। পৃথিবীতে যত নবী-রাসুল, সাহাবাগণ এসেছেন সকলে প্রতিকূল অবস্থায় সবর করেছেন। তাদের সবরের বিধায় আল্লাহ সুবহান ও'য়াতাআলা খুশী হয়ে উনাদের পৌছে দিয়েছেন সম্মানের সর্বোচ্চ মোকামে। "নিশ্চয় আল্লাহ ধৈর্য্যশীলদের সাথে আছেন।" (সূরা আনফাল- আয়াতঃ৪৬) এ থেকে বুঝা যাচ্ছে, আপনি যদি সবর করেন তাহলে স্বয়ং আল্লাহ সুবহান ও'য়াতাআলা আপনার সাথে থাকবেন। লেখক আল্লামা হাফিয ইবনুল কায়্যিম আল জাওযী সাহেব এই ব্যাপারগুলোই বিস্তারিত আলোচনা করেছেন এই সবর বইটিতে। বইটি আপনার সবর এবং ঈমান দুটাই মজবুত ও দৃঢ় করবে বলে আমার ধারনা।
এই জীবন কখনো যদি আমাদের সামনে বিপদের ঢালি নিয়ে হাজির হয়, আমরা ভেঙে পড়ি। ভেতরে ভেতরে গুড়িয়ে যাই। আমরা বুঝতে চেষ্টা করিনা যে, বহতা নদীর স্রোতের মতো জীবনের গতিপথ সরল এবং সোজা নয়; বরং তা সৃষ্টিগতভাবেই দুর্গম, বন্ধুর এবং কণ্টকাকীর্ণ। মুমিন ব্যক্তি মাত্রই বিশ্বাস করে যে, যত সংকটই আসুক না কেন, তা আল্লাহর পক্ষ থেকেই আসে। ফলে সে বিপদে পড়েও ক্ষোভ, হতাশা ও অস্থিরতা প্রকাশ করে না।