ভয়ের মধ্যেও আশ্চর্য এক ধরনের ভালো লাগা আছে। আরো আছে চুম্বকের মত অপ্রতিরোধ্য আকর্ষণ ও ঘোরলাগা হাতছানি- ভূতের গল্প তার প্রমাণ। আতঙ্কে গা শিউরে ওঠে, ভয়ে হাত-পা বরফের মত জমাট বেঁধে যায়। তারপরও পড়া চাই, জানা চাই শেষটায় কী ঘটলো। ভুতুড়ে গল্পের চমৎকারিত্ব বা অনন্যতা এখানেই। গল্প থেকে আনন্দ আহরণই আসল কথা। ভূত আছে না নেই? সে প্রশ্ন প্রধান হয়ে দাঁড়ায় না। সুনির্বাচিত কতিপয় ভূতের গল্প সংকলিত হয়েছে এই গ্রন্থে। এক একটি গল্প নিজস্ব বৈশিষ্ট্য, স্বভাব, ঢং ও পরিবেশনা নৈপুণ্যে স্বাতন্ত্র্যের দাবিদার। শুধু শিশু-কিশোররা নয়, বয়স্ক পাঠকরাও পড়ে আনন্দ পাবেন। ভয়ের সঙ্গে যুক্ত হবে উত্তেজনা, উৎকণ্ঠা, শিহরণ এবং চাপা আতঙ্ক। একসঙ্গে এতগুলো অনুভূতির সাড়া কিন্তু অন্যান্য গল্পে আমরা পাই না। ভূতের গল্পের সার্থকতা এখানেই।
হাসান হাফিজ
জন্ম ১৫ অক্টোবর ১৯৫৫। নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে। পড়ালেখা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে, বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে। পেশা সাংবাদিকতা। পেয়েছেন শ্রীজ্ঞান অতীশ দীপঙ্কর স্বর্ণপদক, ডাকসু সাহিত্য পুরস্কার, অগ্রণী ব্যাংক শিশুসাহিত্য পুরস্কারসহ বেশ কিছু পুরস্কার। তিনি জাতীয় প্রেসক্লাবের সহসভাপতি, বাংলাদেশ পরিবেশ সাংবাদিক ফোরামের (এফইজেবি) সাধারণ সম্পাদক ও বাংলা একাডেমির জীবনসদস্য। এ পর্যন্ত প্রকাশিত গ্রন্থসংখ্যা ১৪০।