ফ্ল্যাপের কিছু কথাঃ ড. আলীম আল রাজীর স্মরণীয় মন্তব্য ‘এমনি করে আমার কলকাতার জীবনের অবসান হতে চললো। ল’টা পাশ করলাম। ভাবতে লাগলাম, সেরেস্তাটা কোন্ শহরে খুলি। বাংলাদেশের দরিদ্র কৃষকদের রক্ত শোষণ করবো? বিবেক এসে বাধা দিলো। পশ্চিমের কোন শহরে যাব? তাও মনঃপূত হলো না।” (আরাকানের পথে)
“সংবিধান জনগনের স্বার্থে হতে হবে। যে সংবিধানে জনগণের স্বার্থ রক্ষা হবে না, সে সংবিধানে আমরা বিশ্বাস করি না। জনগণের সম্মতি ছাড়া কোন সংবিধান চাপিয়ে দিলে তা গণতান্ত্রিক অধিকারের অন্তরায় হবে বাধ্য। আিইয়ূব খান সাহেবও সংবিধান চেয়েছিলেন এবং সেই সংবিধান অনুযায়ী যাঁরা মেম্বার ছিলেন, তাঁরা ‘রাবার স্ট্যাম্প ছাড়া কিছুই ছিলেন না।’
“স্বাধীনতার দীর্ঘ এক দশক পরেও সামরিক শাসনের যাতাকলে পিষ্ট হইতে হইবে জানিলে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ‘টু’ শব্দটিও করিতাম না।”
ড. রাজী সম্পর্কে বিশিষ্টজনদের মতামত “আমি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে বলচি, আলীম-আল-রাজীর সমকক্ষ, কেউ আমার সামনে একটা নাম উল্লেখ করুন। সে আইনজ্ঞ বলা যথেষ্ট নয়্.. পুরাতন ক্ল্যাসিক্যাল সিলেবাসে আলীম ‘মোমতাজুল মোহাদ্দেসীন’ এমন ‘মোহাদ্দেসীন’ অনেক পাওয়া যেতে পারে, কিন্তু ্আধুনিক জগতের ইতিহাস জ্ঞানে তারা অকাট মূর্খ। আইনের ক্ষেত্রে ‘মাস্টার্স’ ডিগ্রিধারী ক’জন এ দেশে আছে আমার জানা নেই, কিন্তু তারা কেউ মাদ্রাসা আলীয়ার ‘মোমতাজুল মোহাদ্দেসীন’ নয়। একদিকে আরবীর জ্ঞান তথা পবিত্র ইসলাম ধর্মের সঙ্গে ঘনিষ্টতা এবং অণ্যদিকে আধুনিক জ্ঞান-সমুদ্রের ডুবুরি আমি বলছি একজনও নেই। যদি থাকেও , সেখানে বাগ্মিতা এবং দেশেপপ্রেম কতটুকু পাওয়া যাবে? আলীম রাজনীতির ক্ষেত্রে এসেছিল স্বদেশের কল্যাণ কামনায় আর বহুজনের মতো আপন ‘তরক্কী’ (শ্রীবৃদ্ধি) সাধনে নয়।” -শওকত ওসমান
“তরুণ লেখক রাজী সাহেবের ‘আরাকানের পথে’ পড়ে সত্যই আনন্দ লাভ করলুম। ভাষা প্রাঞ্জল, প্রকাশভঙ্গি আবেগময় এবং প্রাণবন্ত। রাজী সাহেব তারাশঙ্করের মত সমসাময়িক ঘটনা নিয়ে উপন্যাস রচনা করতে অগ্রসর হয়েছেন দেখে আশান্বিত হলুম। সমসাময়িক ঘটনার মধ্যেই খুঁজতে হবে আমাদের দুঃখ কোথায় এবং কিসের। আর তার মধ্যেই পাব আমরা ভবিষ্যৎ কর্মপদ্ধতির নির্দেশ। তরুণ লেখকের সাহিত্যিক ভবিষ্যৎ যে উজ্জ্বল, তা আমি অসঙ্কোচেই বলতে পারি।” -এস. ওয়াজেদ আলি