ফ্লাপে লেখা কথা আউটসোর্সিংয়ে সফল হওয়ার জন্য চারটি জিনিস প্রয়োজন। ১. কোন কাজে দক্ষতা ২. সুন্দর একটি প্রোফাইল ৩. উপযোক্ত কভার লেটার এবং ৪. ইংরেজিতে বেসিক জ্ঞান। এদের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো কোন কাজে দক্ষতা। বাকি তিনটিও এটির উপর নির্ভরশীল। প্রথমে কোন কাজে দক্ষতা অর্জন করে আউটসোর্সিংয়ে নামতে হবে। তারপর সুন্দর একটি প্রোফাইল তৈরি করতে হবে। সুন্দর একটি প্রোফাইল তৈরি করতেও কাজের দক্ষতা প্রয়োজন। কারণ আপনি যে কাজগুলো জানেন সেগুলো প্রোফাইলে যোগ করবেন, কাজের পোর্টফোলিও যোগ করবেন। আপনি যে ঐ কাজের উপযোক্ত এটা যেন আপনার প্রোফাইল দেখেই বুঝা যায়। তারপর জবের বিজ্ঞাপণ অনুসারে কভার লেটার লিখতে হবে। বিভিন্ন জবের কভার লেটার বিভিন্ন রকম হয়। আপনার কভার লেটারটি এমন ভাবে লিখতে হবে যেন ক্লায়েন্ট এটা পড়েই বুঝতে পারে যে আপনি কাজটি করতে পারবেন। সবশেষে প্রয়োজন ইংরেজিতে বেসিক জ্ঞান ক্লায়েন্টের সাথে ইন্টারভিওর সময় কনভারসেশন (চ্যাট) করার জন্য। ইংরেজিতে জ্ঞান আপনার আগেও লাগবে যখন আপনি জবের বিজ্ঞাপণ পড়বেন। জবের বিজ্ঞাপণ পড়ে আপনাকে বুঝতে হবে এখানে কী কাজের কথা বলা হয়েছে। কাজটি কীভাবে করতে হবে তা আপনাকে ইংরেজিতেই কভার লেটারে লিখবে হবে। ইন্টারভিওর সময় ক্লায়েন্টকে ইংরেজিতেই বুঝাতে হবে আপনি কাজটি কীভাবে করবেন।
সূচিপত্র ১. অনলাইন মার্কেটপ্লেস ২. আউটসোর্সিংয়ে সফল হবেন কীভাবে? ৩. কীভাবে একটি সুন্দর প্রোফাইল তৈরি করবেন? ৪. কাজ খোঁজা শুরু করুন ৫. উপযুক্ত কভার লেটার লিখবেন কীভাবে? ৬. ইন্টারভিউ ফেইস করা ৭. জব করবেন কীভাবে? ৮. ওডেস্ক ফ্রিল্যান্সার নির্দেশিকা ৯. ওডেস্ক ক্লায়েন্ট নির্দেশিকা ১০. অ্যাকাউন্ড সাসপেন্ড হয় কেন? ১১. ওডেস্ক ফ্রিল্যান্সার পলিসি ১২. ওডেস্ক ক্লায়েন্ট পলিসি ১৩. এসইও তে সফল হবেন যেভাবে ১৪. যেসব কারণে নতুন ফ্রিল্যান্সাররা ঝড়ে পড়ে ১৫. আউটসোর্সিং শুরুর আগে ১৬. সহজে কাজ পাবেন যেভাবে ১৭. সমস্যার সমাধান পাবেন যেখানে ১৮. দুইজন সফল উদ্যোক্তার সাক্ষাৎকার ১৯. ১৪ জন ফ্রিল্যান্সারের সফলতার গল্প ২০. কালী প্রসন্ন ঘোষ, স্টিফেন হকিং এবং সফলতা
ডা. মিজানুর রহমান কল্লোল
ডা. মিজানুর রহমান কল্লোল জন্ম ১ জানুয়ারি, খুলনা । বাবা বিশিষ্ট মুক্তিযােদ্ধা অধ্যক্ষ মােস্তাফিজুর রহমান এবং মা রাহিলা খাতুন। বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজের ১৬তম ব্যাচের ছাত্র ছিলেন, এমবিবিএস পাশ করেন ১৯৯৩ সালে । ছাত্রজীবনে সক্রিয় রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তিনি শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজের ছাত্র সংসদের নির্বাচিত সাহিত্য সম্পাদক ছিলেন। বর্তমানে ঢাকা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে সার্জারি বিভাগে কর্মরত রয়েছেন। তিনি থােরাসিক সার্জারিতে এমএস করছেন। পেশাগত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি লেখালেখি করেন প্রচুর। বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক, পাক্ষিক ও মাসিকে নিয়মিত লিখে যাচ্ছেন। যদিও লেখালেখির শুরুটা কবিতা দিয়েই, কিন্তু বর্তমানে বেশি ব্যস্ত স্বাস্থ্য বিষয়ক লেখালেখিতে । সায়েন্সফিকশন এবং ভৌতিকগল্পও লিখছেন প্রচুর । অনুবাদেও সমান দক্ষ। ইতােমধ্যে তার বেশ কিছু অনুবাদের বই বেরিয়েছে। প্রথম কবিতার বই একজন স্বপ্ন পুরুষের কাছে মৃত্যুর অনুবাদ প্রকাশিত হয় ১৯৮৯ সালে। বাংলায়। প্রথম দীর্ঘ সায়েন্সফিকশন কবিতা লেখেন তিনি, পৃথিবীর মৃত্যুতে কাঁদেনি কেউ শিরােনামের এই সায়েন্সফিকশন কবিতাটি প্রকাশিত হয় অন্যদিন পত্রিকায়। স্বাস্থ্য বিষয়ক লেখালেখিতে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ১৯৯৯ সালে পেয়েছেন। আনােয়ারা-নূর পুরস্কার। তাঁর স্বাস্থ্য বিষয়ক বইগুলাে ব্যাপকভাবে পাঠক জনপ্রিয় হয়েছে। রহস্য পত্রিকায় তিনি পাঠকদের স্বাস্থ্য বিষয়ক প্রশ্নের উত্তর দেন। উন্মাদ পত্রিকায় তিনি পরিকল্পনা বিভাগে রয়েছেন। তিনি একটি জাতীয় দৈনিকের সাব এডিটর।