

সিল্ক
সিল্ক আলেসান্দ্রো বারিককো অনুবাদ: রফিক-উম-মুনীর-চৌধুরী . . ইতালীর ঔপন্যাসিক আলেসান্দ্রো বারিককোর 'সিল্ক' নভেলাটি পড়লাম।নভেলাটি বেশি না মাত্র ৬৫ পৃষ্ঠার।গল্পটি হচ্ছে এর্ভে জোঁকুর সিল্কের ব্যবসাকে কেন্দ্র করে যে কিনা এর জন্যে পৃথিবীর শেষ প্রান্তে জাপানে যায় রেশমগুটির জন্যে। সে ওখান থেকে এই রেশুমগুটি দেশে নিয়ে আসে।কারণ তার দেশে প্রেব্রিন নামের একটা মড়ক লাগে যার জন্যে রেশমগুটির ডিমগুলো নষ্ট হয়ে যায়।সে যখন জাপানে যায় তখন একটা তরুণীর প্রতি আকৃষ্ট হয়।এবং কাহিনী এভাবেই এগোতে থাকে।দেশে ফিরে আসে, জাপানে যায়,আবার আসে আবার জাপান যায়-একরকম রিপিটেশনের মতো আরকি।আর ঐ তরুণী তাকে চিঠি দেয় একরকম অদৃশ্যভাবেই।এই জাপান যেতে এর্ভে জোঁকুরকে উদ্বুদ্ধ করে আরেকজন বন্ধু বালদাবিয়্যু।কাহিনী এভাবেই চলতে থাকে। . প্রথমত নভেলাটা পড়তে আমার তত ভালো লাগেনি ।নিস্পৃহ,নিস্পৃহ অনুভূতি ।পুরো নভেলা জুড়েই খাপছাড়া, খাপছাড়া ভাব মানে বিচ্ছিন্নতা।মনে হয় এটি লিখতে ঔপন্যাসিক এদিকেই বেশি জোর দিয়েছেন।পুরো উপন্যাসটার চরিত্রগুলোর মধ্যে একরকম উদাসীনতা, উদাসীনতা কাজ করে।তবে নভেলাটির মজার অংশ ছিলো একেবারে শেষে কারণ যে তরুণীটিকে তার পছন্দ হয় জাপানে এবং তাকে চিঠি লিখে জাপানী ভাষায়, একেবারে শেষের দিকে সে বুঝতে পারি এই চিঠিগুলো আর কেউ নয় তার স্ত্রী লিখে।যে কিনা মারা যায় কিছুদিন আগেই।কাহিনীটাতে একটা ধ্রুম্রর্জালের ব্যাপার আছে কিন্তু এটিকে আরো অসাধারণ করা যেতো। . যাই হোক,মানুষের জীবনের ক্রমবর্ধমান স্বস্তির এবং অস্বস্তির গতির একটা ইঙ্গিত আছে নভেলাটি যেটা আমার ভালো লেগেছে। . নভেলাটি জাপানের যুদ্ধের একটা ব্যাপার আছে,অত বৃহৎ পরিসরে নয় তবে এর একটা আবেশ এর্ভে জোঁকুরের মধ্যে থাকেই যেহেতু জাপানে সে রেশুমগুটি কিনতে যায়।এর মধ্যে আমার এ অংশটা ভালো লেগেছে, 'সবাই বলাবলি করছে জাপানে যুদ্ধ লেগে গেছে, মানে সত্যিকারের যুদ্ধ।ইংরেজরা সরকারকে অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে সাহায্য করছে,আর ওলন্দাজরা সাহায্য করছে বিদ্রোহীদের।তারা যেন সবাই একজোট হয়েই নেমেছে। প্রচুর সাহায্যের হাত বাড়াচ্ছে তারা, তারপর সব কিছু দখল করে নিয়ে নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করছে।ফরাসি দূতাবাসের লোকজন সব পর্যবেক্ষণ করছে তাদের কাজ হলো শুধু বসে বসে দেখা। তারা শুধু পারে হতাহত আর বিদেশিদের ধরে ধরে ভেড়ার মতো কেটে ফেলার খবর জানিয়ে চিঠি পাঠাতে।' #বইবাজার_রিভিউ_প্রতিযোগিতা_মার্চ_২০১৯
SIMILAR BOOKS
