পুনর্ভবা নামে এক নদী আছে, সেই নদীতে ডুবেও নার্গিস ফিরে আসে, শহীদুলের পরিপাথর পাওয়া যায়। আহমেদ খান হীরক নামে এক লেখক আছেন যিনি পাঠককে পুনর্ভবা দেখাতে চান। কিন্তু এই দেখানাের প্রক্রিয়ায় হয়ে ওঠেন। এক কায়াহীন ছায়া— যে ছায়া নিজেকে দৃশ্যমান। করতে চায় আবার পাঠকেরই সাহায্যে। এটি এক্সপেরিমেন্ট, এটি এক চমকপ্রদ মিথস্ক্রিয়া। এই ছায়া পৃথিবীর বুকের কোনাে ঘটনাকেই আর বুঝতে দেয় না। এই ছায়া ২০ বছর পরে হারিয়ে যাওয়া তুলি হয়ে ফিরে আসে অনাকাঙ্ক্ষিত আগুন নিয়ে। যে আগুন আমাদের এক ঘােরের মধ্যে রাখে, সম্মােহিত করে। এই ছায়ার নাম আহমেদ খান হীরক। যার গল্প রেখে পাঠক উঠে যেতে পারবেন না। আর যখন পারবেন, তখন তার উঠে যাবার অর্থ নিয়েই সন্দিহান হবেন। এমনই ক্ষমতা হীরকের। বাংলাভাষায় কি এমন গল্প আগে হয়েছে? সিলগালা মহল্লার অ্যাবসার্ড কার্যকলাপে পাঠক এর উত্তর খুঁজতে গিয়ে মহল্লার ব্যালকনির দিকে তাকিয়ে প্রশ্নটি ভুলবেন। কারণ হীরক পাঠককে ততক্ষণে তাঁর গল্পের অংশ করে তুলেছেন। লেখকের এই শক্তি। বড়াই করে না বরং মুদ্র বিস্ময়ে আবৃত করে। রাখে। এই হলাে সার্থকতা। এই গল্পগুলাে পড়ার পরে পৃথিবীর বুকে কম্পাস নিয়ে হীরকের অন্য লেখা খোজা এখন আমার আর একটি কাজ। দীপেন ভট্টাচার্য গল্পকার ও জ্যোতির্বিদ।