বই সম্পর্কে :
সুয়োরানী আর দুয়োরানী। একজন রাজপ্রাসাদে ঐশ্বর্যে থেকেও দুঃখী, অন্যজন প্রাসাদ হতে দূরে কুঁড়েঘরে থেকেও সুখী। দুয়োরানীর এমন সুখ পেতে চায় সুয়োরানীও; বিলাসী জীবন, ধনধৌলত ভোগ করেও যে সুখ পায়নি সে কোনোদিন, তা কী করে সামান্য কুটিরে বাস করে দুয়োরানী সহজেই খুঁজে পায়, এ ভাবনায় তার চোখে ঘুম আসে না। তাই তো সে দুয়োরানীকে অনুকরণ করতে চায়Ñ ‘‘আমার বড়ো সাধ, রোজ খাব শালুক ফুল, বনের ফল, খেতের শাক; আমার ছেলে নিজের হাতে তুলে আনবে।’’
এ চাওয়া যে সহজ চাওয়া নয়, তার জন্য চাই সহজ জীবনÑ সে গল্পই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এঁকেছেন তাঁর ‘লিপিকা’ নামক অসাধারণ গ্রন্থে। এ শুধু গল্প নয়, নতুন করে জীবনকে দেখার চোখ, শিশু-কিশোরদের জন্য যা সহজ ভাষায় প্রকাশিত হয়েছে এ বইতে।
এই বইয়ের সবচেয়ে আকর্ষণীয় দিক হলো, পুরো বইটি ইলাসট্রেশন করা। ফোর কালারে পাতায় পাতায় গল্পের সঙ্গে ছবি দেখে দেখে পড়তে পারবে শিশু-কিশোররা। জীবন্ত সব চিত্র।
নিঃসন্দেহে শিশু-কিশোরদের অনাবিল আনন্দ দেবে এই বই।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (জন্ম : ৭ মে, ১৮৬১ - ৭ই আগস্ট, ১৯৪১) (মৃত্যু : ২৫ বৈশাখ, ১২৬৮ - ২২ শ্রাবণ, ১৩৪৮ বঙ্গাব্দ)। তিনি ছিলেন অগ্রণী বাঙালি কবি, ঔপন্যাসিক, সংগীতস্রষ্টা, নাট্যকার, চিত্রকর, ছােটগল্পকার, প্রাবন্ধিক, অভিনেতা, কণ্ঠশিল্পী ও দার্শনিক। তাঁকে বাংলা ভাষার সর্বশ্রেষ্ঠ সাহিত্যিক মনে করা হয়। রবীন্দ্রনাথকে গুরুদেব, কবিগুরু ও বিশ্বকবি অভিধায় ভূষিত করা হয়। রবীন্দ্রনাথের ৫২টি কাব্যগ্রন্থ, ৩৮টি নাটক, ১৩টি উপন্যাস, ৩৬টি প্রবন্ধ ও অন্যান্য গদ্যসংকলন তাঁর জীবদ্দশায় বা মৃত্যুর অব্যবহিত পরে প্রকাশিত হয়। তাঁর সর্বমােট ৯৫টি ছােটগল্প ও ১৯১৫টি গান যথাক্রমে গল্পগুচ্ছ ও গীতবিতান সঙ্কলনের অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। রবীন্দ্রনাথের যাবতীয় প্রকাশিত ও গ্রন্থাকারে অপ্রকাশিত রচনা ৩২ খন্ডে রবীন্দ্র রচনাবলী নামে প্রকাশিত হয়েছে। রবীন্দ্রনাথের যাবতীয় পত্রসাহিত্য উনিশ খন্ডে চিঠিপত্র ও চারটি পৃথক গ্রন্থে প্রকাশিত। এছাড়া তিনি প্রায় দুই হাজার ছবি এঁকেছিলেন। রবীন্দ্রনাথের রচনা বিশ্বের বিভিন্ন ভাষায় অনূদিত হয়েছে। ১৯১৩ সালে গীতাঞ্জলি কাব্যগ্রন্থের ইংরেজি অনুবাদের জন্য তিনি সাহিত্যে নােবেল পুরস্কার পান।